
প্রতীকী ছবি
কুমিল্লা থেকে এক যুবককে অপহরণের পর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ওই যুবককে হত্যার পর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নিয়ে ফেলা হয়। গত বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে ওই যুবকের ভেসে আসা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
তদন্তের স্বার্থে আসামিদের পরিচয় জানায়নি পুলিশ। দুই আসামি গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম। নিহত ওই যুবকের নাম সজিব হোসেন। তিনি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভাউকসার এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১ আগস্ট দুপুরে চিকিৎসার কাজে কুমিল্লায় আসেন সজিব হোসেন। বিকেলে তার হাতের ফোন বন্ধ পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে কোথাও না পেয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করেন তারা। পরে অজ্ঞাত মোবাইল নম্বর থেকে সজিব হোসেনের বাবার মোবাইলে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ সময় টাকা না দিতে পারলে ছেলেকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। পরিবার থেকে সে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সজিবকে হত্যা করে মরদেহ গত ৪ আগস্ট একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেয়।
পরে বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকতে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারে তার পরিচয় সনাক্ত করে পুলিশ। এ খবর পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, সজিব হোসেনকে অপহরণ করার পর ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরিবারের থেকে টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর মরদেহ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তদন্তের স্বার্থে এখন তাদের নাম-পরিচয় বলা যাচ্ছে না। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কক্সবাজারে ময়নাতদন্তের পর রাত ১২টার দিকে সজিবের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।