
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, শেখ হাসিনার ১৬ বছর সরকারে যে দুর্নীতি হয়েছে, বর্তমানে ১০ মাসের আমলে যদি তার চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়, তাহলে কে ভালো? বৈষম্যবিরোধীদের সফলতা আমি হাজারবার সম্মান জানাই। কিন্ত তারা এখন মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরায়, আমি বলে দিতে চাই তাদের গলায়ও একদিন এ মালা উঠবে। সেখান থেকে মুক্তি নেই। শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলে সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাদেরিয়া বাহিনীর প্রশাসক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ এনায়েত করিমের শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম পিন্টুকে বলেছিলাম এই স্মরণ সভায় আসার জন্য, তিনি আসেননি। আমি একবার ফোন করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোন ধরতেন। আজকে তাকে অন্তত ২৫ বার ফোন করেছি। তিনি ধরেননি। এটা কোনো রাজনীতি হলো না। বাংলাদেশ যদি থাকে, মুক্তিযুদ্ধ যদি থাকে, আমি কাদের সিদ্দিকি যদি বেঁচে থাকে তবে আমাকেও দরকার হবে। আমি বেঁচে থাকলে জিয়াউর রহমানের সাথে শেখ হাসিনার লোকজনের যে দূরত্ব সেটা আমি ঘুচিয়ে দেব। বঙ্গবন্ধু একবারের জন্যও জিয়াউর রহমানকে কোনো খারাপ কথা বলেননি। বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরও জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর সমন্ধে একটা শব্দও করেননি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সবাই যদি একদিকে থাকতে পারত তাহলে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পড়াতে পরতো না। জিয়াউর রহমান আজ শ্রেষ্ঠ মানুষ। রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর পরেই জিয়াউর রহমান।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, সকালে একজন এসে আমাকে বললো মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করা হবে। আমি বললাম যাচাই-বাছাই করার তোমরা কারা। তোমাদের তো তখন জন্মই হয়নি। যাচাই-বাছাই করলে আমরাই করবো। আর যে যাচাই বাছাই হইছে, হইছেই। ঐটা নিয়ে আর কোনো কথা চলবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আর কোনো ছেলে খেলা সহ্য করা হবে না। এনায়েত করিমের শোক সভায় এইটাই হবে আমাদের শপথ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি বুলবুল খান মাহবুব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর খান মেনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বীর প্রতীক, শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী।