জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি ফের বুধবার সকালে , জামায়াত নেতা আজহার মুক্তি পাচ্ছেন? এবং অন্যদের নেতাদের ক্ষেত্রে অবিচার করা হয়েছে,
পুর্বের সরকার যুদ্ধা অপরাধীদের বিচার করার জন্য আন্তর্জাতিক আইন ও আদালত গড়ে তুলেছিল, কিন্ত সেই আইনের ভিত্তিতে সকল নেতাদের বিচার করা হয় নি।
জামায়াত নেতা আজহার এর আইনজীবী জানান,
মূল প্রশ্ন উঠেছে,
প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ প্রযোজ্য হবে না মর্মে অতীতের আদালত বলেছেন, এইটাই আজকে রিভিউ হচ্ছে। এই যে আন্তর্জাতিক আদালতের আইন প্রযোজ্য হবে না, এই কথা বলে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেটা শুধু জনাব এটিএম আজহারের ক্ষেত্রে নয়, জনাব কাদের মোল্লা, জনাব মতিউর রহমান নিযামী, জনাব কামরুজ্জামান, এবং অন্যান্য আলীহাসান মুজাহিদ, জনাব মীর কাসেম আলী, সকলের ক্ষেত্রেই এই যে আন্তর্জাতিক আইনের প্রথাগত বিধান প্রযোজ্য নয় মর্মে রায় দেওয়া হয়েছে।
আজকে যে রিভিউ পিটিশনের আলোচনা উঠেছে, সেখানে উঠেছে অতীতের সবগুলো রায়, এই যে একটি ফাইন্ডিং তারা দিল এবং এই মানুষগুলোকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এক্সিকিউট করা হলো। আজ যদি সেই সব রায়গুলো এই পয়েন্টে রিভিউ হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ না করার কারণে যে অবিচার করা হয়েছে, সেটা নতুন করে আবার প্রমাণিত হবে।
তাহলে, এখানে উঠে আসছে জনাব এটিএম আজাহারের ক্ষেত্রে নয়, জনাব কাদের মোল্লাসহ, জনাব মতিউর রহমান নিযামী, জনাব কামরুজ্জামান, এবং অন্যন্য আলীহাসান মুজাহিদ, জনাব মীর কাসেম আলী, সকলের ক্ষেত্রেই অমানুবিক, বা অবিচার করা হয়েছে।
এখানে যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা হলো জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ শুনানি সম্পর্কিত একটি মামলা। মামলার প্রেক্ষাপটে মূল প্রশ্নটি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক আইন বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ আইনে প্রযোজ্য হবে কিনা। অতীতে আদালত বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এবং এই রায়টি শুধুমাত্র আজহারের জন্য নয়, অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রেও (যেমন কাদের মোল্লা, মতিউর রহমান নিয়াজী, কামরুজ্জামান, আলীহাসান মুজাহিদ, মীর কাসেম আলী) একই রায় দেওয়া হয়েছে।
এখন এই রিভিউ শুনানির মাধ্যমে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, যদি অতীতের রায়গুলো আন্তর্জাতিক আইনের প্রযোজ্যতা না থাকার ভিত্তিতে দেওয়া হয়ে থাকে, তবে এটি একটি অবিচার হয়ে দাঁড়াবে। মূলত এই পয়েন্টে আলোচনা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক আইন না প্রয়োগ করার কারণে যেভাবে ভুল রায় হয়েছে, তা নতুন করে প্রমাণিত হতে পারে।
এটি মূলত একটি আইনগত প্রশ্ন এবং আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে নতুনভাবে আলোচনা করা হচ্ছে।
বাংলা নিউজ বিডি হাব/ Roni