
চলতি বছর মে মাসের সময়কালে মোট ১৮৪ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৫ জন কন্যা এবং ১০৯ জন নারী। সোমবার (২ জুন) দেশের ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ।
নারী ও শিশু নিপিড়নের চিত্র তুলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ থেকে জানানো হয়, গত মে মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩১ জন কন্যাসহ ৪৫ জন। তার মধ্যে ৬ জন কন্যাসহ ৭ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ৩ জন কন্যাসহ ৪ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ১১ জন কন্যাসহ ১৪ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৩ জন কন্যাসহ ৫ জন।
প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ১০ জন কন্যাসহ ১৩ জন। বিভিন্ন কারণে ৩ জন কন্যাসহ ৪৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ৪ জন কন্যাসহ ১৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ১ জন আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ১ জন কন্যাসহ ৫ জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪ জন, এর মধ্যে ৩ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন, এর মধ্যে ১ জন কন্যা।
এছাড়াও পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২ জন কন্যাসহ ৯ জন। ১ জন গৃহকর্মীর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ৭ জন কন্যাসহ ১২ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন। ৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ১টি। এছাড়া ১ জন কন্যাসহ ৭ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।