স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৫ | আপডেট: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৭
ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ ১১ বছরের আরাবি ইসলাম সুবার সন্ধান পাওয়া গেছে।পুলিশ বলছে, মেয়েটিকে শনাক্ত করা হয়েছে নওগাঁয়। তবে কৌশলগত কারণে তাকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। অভিযান অব্যাহত আছে। যে কোনো সময় তাকে উদ্ধার করা হবে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়েটির সন্ধ্যান চেয়ে অনেকেই পোস্ট করেন। মেয়েটির মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। মেয়েটি বরিশালের একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। গত দুই মাস ধরে মায়ের চিকিৎসার কারণে ঢাকার মোহাম্মদপুরে ফুফুর বাসায় অবস্থান করছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি জিডির প্রেক্ষিতে মেয়েটিকে উদ্ধারে তৎপর হয় পুলিশ। পুলিশ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে জানতে পারে একটি মার্কেটের ভেতরে অল্প বয়সী দুই জন ছেলের সঙ্গে সাক্ষাত করে সুবা। এরপর তারা বেরিয়ে যায়। পরে ফুটপাত দিয়ে এক ছেলের সঙ্গে হাত ধরে হেটে যেতে দেখা যায়। এরপর সিসি ফুটেজের ওই ছেলেটির মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ ব্যাপকভাবে অভিযানে নামে
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডিএমপির আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া বাংলানিউজবিডিহাবকে বলেন, মোবাইল ট্র্যাক করে নওগাঁ জেলায় অবস্থান পাওয়া গেছে। এরপর মেয়েটিকে নওগাঁ জেলায় দেখা গেছে। শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। শিগগির জেলা পুলিশের সহয়তায় তাকে উদ্ধার করা হবে এবং যে ছেলেটি নিয়ে গেছে তাকেও আটক করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বয়সে ছোট ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাসা থেকে বের হয় সুবা। এরপর রাস্তা পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুবা।
ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের সামনে সুবাকে দেখা গেছে। তবে সেখানে সুবার ফুফাতো ভাই ছাড়া আরেকজনও ছিল। তার সঙ্গে সুবাকে হাঁটতে দেখা গেছে।
মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে জানতে চাইলে সুবার বাবা ইমরান রাজিব বলেন, ‘সুবা বরিশালের একটি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য দুই মাস ধরে ঢাকায় বোনের (সুবার ফুফু) বাড়িতে আছি।
তিনি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাইরে বের হয় সুবা। রাস্তা পার হওয়ার সময় ফুফাতো ভাই কিছুটা আগে চলে যায়। পরে সে পেছনে ফিরে দেখে সুবা নেই। আদাবর থানায় জিডি করেছি।
আরাবি ইসলাম সুবার পরিবারের বরাত দিয়ে আদাবর থানার ওসি এস এম জাকারিয়া বলেন, যে ছেলেটির সঙ্গে দেখা গেছে সেই ছেলের সঙ্গে সুবার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জের ধরে চলে যায়। ছেলেটির যে মোবাইল নম্বর সেই মোবাইল নম্বর দিয়েছে মেয়েটির পরিবার। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বাংলানিউজবিডিহাব/জিএস/ইআ