যুক্তরাষ্ট্রে প্লেন-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে সব আরোহীর মৃত্যুর শঙ্কা

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

পটোম্যাক নদীতে উদ্ধার কাজ চলছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের মধ্য আকাশে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ও সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার শিকার উড়োজাহাজের ৬৪ আরোহী ও হেলিকপ্টারের তিন সেনার কেউই বেঁচে নেই।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের কাছে মধ্য আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী প্লেনের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। পরে উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারটি পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

এদিকে, আমেরিকান এয়ারলাইনস নিশ্চিত করেছে, উড়োজাহাজে ৬৪ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৬০ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু। আর একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, হেলিকপ্টারটিতে তিন জন সেনা ছিলেন। সামরিক হেলিকপ্টারটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট ছিল।

সিএনএন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার আগে হেলিকপ্টারটিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার একটি অডিও থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারের পাইলটের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে আমেরিকান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে কি না। নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে হেলিকপ্টারের পাইলটের উদ্দেশে বলা হয়, ‘পিএটি টু-ফাইভ, আপনি কি সিআরজে উড়োজাহাজটিকে দেখতে পাচ্ছেন?’ এরপর নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে আবার বলা হয়, ‘পিএটি টু-ফাইভ, সিআরজে উড়োজাহাজের পেছন দিক দিয়ে পার হন।’

সংঘর্ষের আগমুহূর্তে নিয়ন্ত্রণকক্ষের আরেকটি অডিওতে হেলিকপ্টারের পাইলটকে বলতে শোনা যায়, ‘উড়োজাহাজটিকে দেখতে পেয়েছে পিএটি টু-ফাইভ, ভিজ্যুয়াল সেপারেশনের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে হেলিকপ্টারের পাইলটের উদ্দেশে বলা হয়, পিএটি টু-ফাইভ, আপনি কি সিআরজে প্লেনটিকে দেখতে পাচ্ছেন?’ এরপর নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে আবারও বলা হয়, ‘পিএটি টু-ফাইভ, সিআরজে উড়োজাহাজের পেছন দিক দিয়ে পার হোন।’

অডিওটিতে অন্য একটি উড়োজাহাজের পাইলটের কথাও শোনা গেছে, যিনি ওই সংঘর্ষ ও বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি দেখেছেন এবং নিয়ন্ত্রণকক্ষকে নিশ্চিত করেছেন। আরেক পাইলটকে বলতে শোনা গেছে, হ্যাঁ, আমরা রানওয়ের কাছে ছিলাম ও পটোম্যাক নদীর অপর পাশে আগুনের শিখা দেখেছি।’

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে এটিই সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। ১৯৮২ সালে পটোম্যাক নদীর ওপর ফোরটিনথ স্ট্রিট ব্রিজে এয়ার ফ্লোরিডা ফ্লাইট ৯০ বিধ্বস্ত হয়েছিল। এ ঘটনায় ৭০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু নিহত হন। শুধু চার যাত্রী ও একজন ক্রু বেঁচে গিয়েছিলেন।

বাংলানিউজবিডিহাব/এসডব্লিউ

প্লেন হেলিকপ্টার সংঘর্ষ
বিমান দুর্ঘটনা
মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্র

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।