আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৭ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৯
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যায় অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। টানা বৃষ্টির ফলে সড়ক ও বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসি সর্বশেষ এ তথ্য প্রচার করেছে।
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বিশেয়ার জানান, তার রাজ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে, এবং রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বন্যার পানিতে আটকে পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই গাড়ির ভেতরে আটকা পড়েছিলেন।
কেন্টাকি, জর্জিয়া, আলাবামা, মিসিসিপি, টেনেসি, ভার্জিনিয়া, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনা এই আটটি রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ ঘরবাড়ি রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল বলে পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএস জানিয়েছে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউ) জানিয়েছে, কেনটাকির কিছু এলাকায় ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার ফলে তীব্র বন্যা দেখা দেয়।
গভর্নর বিশেয়ার এক্স-এ (সাবেক টুইটার) জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ৩০০টিরও বেশি সড়ক বন্ধ রয়েছে। হোয়াইট হাউসের কাছে জরুরি দুর্যোগ ঘোষণার আবেদন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই জরুরি ঘোষণায় অনুমোদন দেন এবং ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে (এফইএমএ) দুর্যোগ মোকাবিলার দায়িত্ব নিতে বলেন। তবে ট্রাম্প আগে এই সংস্থাটি বিলুপ্ত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এনডব্লিউএস-এর সিনিয়র আবহাওয়াবিদ বব ওরাভেক বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আরও কিছুদিন চলবে। বহু নদী ও খাল এখনও প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে।’
ওবায়ন নদীর তীরে অবস্থিত রিভস শহর পানিতে ডুবে গেছে। ওবায়ন কাউন্টির মেয়র স্টিভ কার ফেসবুকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বলেন, ‘জলবৃদ্ধি, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্নতা এবং হিমশীতল আবহাওয়া প্রাণঘাতী পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বাধ্যতামূলকভাবে লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’
ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গভর্নর প্যাট্রিক মরিসি শনিবার ১০টি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং রোববার (১৬ জানুয়ারি) আরও তিনটি কাউন্টিকে তালিকায় যোগ করেন।
আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন যে একটি পোলার ভরটেক্স (মেরু ঘূর্ণিঝড়) দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-মধ্য অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে, যা শীতকালীন দুর্যোগ সৃষ্টি করতে পারে।
কলোরাডোতে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে, এবং ডেনভার শহর গৃহহীনদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে। প্রশাসন নাগরিকদের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলানিউজবিডিহাব/এনজে