
প্রতীকী ছবি
রাজবাড়ীর পাংশায় ইউনিয়ন যুবদলকর্মী রাশিদুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। আজ শনিবার সকালে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার। নিহত রাশিদুল ইসলাম পাট্টা ইউনিয়নের উত্তর পাট্টা গ্রামের কিয়ামউদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
নিহত যুবদল কর্মীর স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, রাজনৈতিকভাবে তিনি পাট্টা ইউনিয়ন যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ধান কাটার কাজে এক মাস আগে বরিশাল যান রাশিদুল। সেখান থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে ট্রাকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরেন। আজ সকালে ধান ভাগ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে সকাল ১০টার দিকে নিভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বেলা ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত যুবদল কর্মীর স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী ধান কেটে এক মাস পর বাড়ি ফিরেছে। সকালে ধান ভাগ করতে যাচ্ছিল। তখনই ওর ওপরে হামলা হয়। যারা আমার স্বামীকে মারল, তাদের বিচার চাই আমি। এখন আমি দুই সন্তান নিয়ে কী করব?
পাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম মুরাদ বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষে সাবেক এমপি নাসিরুল হক সাবু ও অপর পক্ষে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ। রাশিদুল সাবু গ্রুপের কর্মী ছিল, আর হামলাকারীরা হারুন গ্রুপের অনুসারী। তাকে যারা মেরেছে, তারা আগেও ওর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। রাশিদুলকে না পেয়ে ওর বাবা-মাকে পিটিয়ে আহত করে। আজ সকালে হারুন গ্রুপের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এলাকার লোকজন এই হত্যার বিচার চাই।
সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
দেবব্রত সরকার আরও বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের শনাক্তের পাশাপাশি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।