ধর্মনিরপেক্ষ না হলে একটা রাষ্ট্র কীভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে- এই প্রশ্ন তুলে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে রাষ্ট্র, জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ- এসব বিষয়ে রাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকবে। রাষ্ট্র সবাইকে সমান অধিকার ও সুযোগ দেবে। কোনো রাষ্ট্র যদি এই অবস্থানটা না নেয়, তাহলে তো সে রাষ্ট্র এমনিতেই অন্য ধর্মাবলম্বীদের আলাদা করে দিচ্ছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে সংবিধানের মূলনীতি থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটি বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথ : বৈষম্যহীন বাংলাদেশের সন্ধানে’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপ্রধান হিসেবে সমাপনী বক্তব্য দেন তিনি। দিনব্যাপী এই সেমিনারের আয়োজন করে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ বিশ্লেষণমূলক জার্নাল ‘সর্বজনকথা’।
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ যাচ্ছে, কিন্তু বাদ দিয়ে কোথায় যাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্ম অনুযায়ী রাষ্ট্র চলবে, এটা যদি হয়, তাহলে ভারতে বিজেপি তো ঠিকই আছে। অথচ ভারতে মুসলমানদের জন্য প্রকৃত অর্থে একটা বড় নিরাপত্তার জায়গা হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। যে জন্য শাহি মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে ভারতের যত মুসলিম ধর্মীয় নেতা আছেন, সবার একটাই দাবি- ভারত যেন ধর্মনিরপেক্ষ থাকে এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। সুতরাং এখানে যারা ধর্মনিরপেক্ষতাকে অস্বীকার করে, তারা ভারতের মুসলমানদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলছে।