বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) চার হলে শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। একটি হলে গেস্টরুমের নামে শিক্ষার্থীদের সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় ২৭ শিক্ষার্থীকে রোববার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান মোল্যা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে সম্পৃক্ত থাকায় ওই শিক্ষার্থীদের হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে ওই হলের লেভেল-১, সেমিস্টার-২, লেভেল-২, সেমিস্টার-২ এবং মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন যৌথভাবে গেস্টরুম করানোর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে বাকৃবির সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ জানান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ঘটনায় ৫২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৭ জন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্র। আর বাকিদের অ্যাটাচমেন্ট অন্য হলে। কিন্তু তারা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে থাকে। সোহরাওয়ার্দী হলের ২৭ জনকে হল থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং অধিকতর শাস্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠানো হবে। যারা এই হলের ছাত্র না, কিন্তু অবৈধভাবে থাকে এবং এই ঘটনায় যুক্ত তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাড়াও ফজলুল হক হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল এবং আশরাফুল হক হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করা হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে তাদের আদব-কায়দা শেখানো এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া কয়েকটি হলে চলাফেরার বিভিন্ন নিয়ম-কানুনের তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম বলেন, হলে কোনো ধরনের গেস্টরুম বা নির্যাতন করা যাবে না। জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।