
প্রতীকী ছবি
লালমনিরহাট তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজায় বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় পুলিশের টহল দলের সামনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র ডাকাতদল ১৫টি মোটরসাইকেল যোগে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় খুব কাছাকাছি পুলিশের টহল দল দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা কোনো প্রতিরোধ করেনি।
ডাকতদল এ সময় টোলপ্লাজা ভাঙচুর করে প্রায় ১৪ লাখ টাকা লুট করে। তাদের হামলায় টোলপ্লাজার তিন কর্মচারী আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলেন, সুরুজ মিয়া (৪০), মুসলিম মিয়া (৩৭) ও জুয়েল ইসলাম (২৮)। আহতদের কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
টোলপ্লাজার ঠিকাদার রানা কন্সট্রাকশনের ব্যবসায়ীক পার্টনার রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমূল আলম নাজু জানিয়েছেন, ডাকাতদলের অতর্কিত হামলায় কর্মচারীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও তাদের বাধা দেওয়া সম্ভব হয়নি। বরং ডাকাতেরা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কর্মচারীদের গুরুতর আহত করে প্রায় ১৪ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
তার অভিযোগ, পুলিশের এসআই পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা টহল দল নিয়ে ঘটনাস্থলের প্রায় ২৫ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও তিনি ডাকাতদের প্রতিহত করার কোনো উদ্যোগ নেননি। হামলায় আক্রান্ত কর্মচারীরা এ সময় পুলিশের সাহায্য চাইলেও কোন সাড়া পায়নি। ঘটনার সময় যারা ছিলেন তাদের ভাষ্যমতে ডাকাতদের চিহ্নিত করা চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে ডাকাতদের কয়েকজনের পরিচায় পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।
টোলপ্লাজার ম্যানেজার দাউদ আলী সরদার জানান, ঘটনার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকার কারণে ডাকাতেরা নির্বিঘ্নে ডাকাতি করে চলে যেতে পেরেছে। জানা গেছে, টোলপ্লাজার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান। তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় টোলপ্লাজার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লালমনিরহাট সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাজমূল আলম নাজু।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মো. নুরুন্নবী বলেন, তিনি ঘটনা শুনেছেন। প্রকৃত ঘটনা কি তা অনুসন্ধান না করে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে তা আইনি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।