নোবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট
২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৯ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৭
নোবিপ্রবি: ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পনেরো বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) শেখ পরিবারের নামে থাকা দুই হলের নাম এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের নাম পরিবর্তনের দাবি দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা হলগুলোর নাম পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ ও সার্বজনীন নাম রাখার দাবি জানিয়ে আসছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুটি হলের নামের ফলক সরিয়ে ফেলেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, হলগুলোর নাম পরিবর্তন করে এমন নাম রাখতে হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালীর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায় এবং যা দলমত-নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
শেখ পরিবারের নামে থাকা দুটি হলসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিল হল ও হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের নাম পরিবর্তনের জন্য গত ২০ জানুয়ারি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার সদস্যসচিব ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বনি ইয়ামিন বলেন, হলগুলোর নাম পরিবর্তন করার জন্য আমরা ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। কোনো স্বৈরাচার, রাজনৈতিক ব্যক্তি বা পরিবারের নামে হলের নাম হতে পারে না। আমরা চাই পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যক্তি বা পরিবারের নামে নামকরণ না করে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নামকরণ করা হোক। সেক্ষেত্রে জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কথাও আমরা বলেছি।
নোবিপ্রবির চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান শিকদার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের চিহ্ন হয়ে থাকা উচিত নয়, বরং এটি শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বজনীন কল্যাণের উপর কেন্দ্রিত হওয়া উচিত। হলগুলোর নামকরণে এমন ব্যক্তিত্ব বা বিষয়বস্তু বিবেচনায় আনা উচিত যারা শিক্ষা, বিজ্ঞান বা জাতীয় ঐক্যে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং যেটি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পক্ষপাতের সঙ্গে জড়িত নয়।
এই বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমাদের রিজেন্ট বোর্ডে হলের নাম পরিবর্তনের জন্য একটা প্রস্তাব এসেছে। আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রিজেন্ট বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিবে সে অনুযায়ী নাম পরিবর্তন করা হবে।
বাংলানিউজবিডিহাব/ইআ