
শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে ২১ নারী-পুরুষ ও শিশুকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ১টার দিকে তাদের নাকুগাঁও সীমান্ত এলাকার সীমানা পিলার ১৪১৬-এর মাঝখানে ৩ নম্বর সীমান্ত গেট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
জানা যায়, বিএসএফের পুশ-ইন করা সবাই মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের মধ্যে ৫ জন বয়স্ক পুরুষ, ৫ জন নারী ও ১১ জন শিশু।
পুশইনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান। তিনি জানান, পুশ-ইন হওয়া আটককৃতদের নাকুগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানা গেছে। তাদের বিষয়ে আরো যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আটকরা মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে যায়। পরে সেখানে শ্রমিক হিসেবে হোটেলে ও বাসাবাড়িতে কাজ করতে শুরু করে। ভারতীয় পুলিশের অভিযানে মাসখানেক আগে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা নিজেদের বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পের শরণার্থী, মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক হিসেবে ছিল বলে পরিচয় দেয়।
সূত্র আরো জানায়, ভারতীয় পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের মেঘালয়ের ডালু সীমান্তে কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে হস্তান্তর করলে মধ্যরাতে নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার ৩ নম্বর সীমান্ত গেইট দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়।
এর আগে ১১ জুলাই একইভাবে নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ নারী-পুরুষকে পুশ-ইন করে বিএসএফ।