সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় – আপনি কি একজন বাংলাদেশী নাগরিক? এবং আপনি অধ্যয়ন বা কাজ বা অবসরের জন্য বিদেশ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখছেন? তাহলে ভাল খবর! আপনি এখন বাংলাদেশ থেকে বৈধ ও সরকারীভাবে বিশ্বের যে কোন দেশে যেতে পারবেন। এই নিবন্ধে, আমরা অন্বেষণ করব সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়, এর সাথে সাথে কীভাবে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করা যাই এবং আপনার আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে  সহজ এবং ঝামেলামুক্ত করার জন্য কিছু টিপস।

সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
  • যুক্তরাজ্য
  • কানাডা
  • অস্ট্রেলিয়া
  • জাপান
  • চীন
  • দক্ষিণ কোরিয়া
  • জার্মানি
  • ফ্রান্স
  • ইতালি
  • স্পেন
  • মালয়েশিয়া
  • সিঙ্গাপুর
  • থাইল্যান্ড
  • ভারত
  • নেপাল
  • ভুটান
  • শ্রীলংকা
  • সংযুক্ত আরব আমিরাত
  • কাতার
  • সৌদি আরব
  • কুয়েত
  • ওমান
  • তুরস্ক
  • রাশিয়া

আরো জানতে পারোঃ

 

 

বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ইতিহাস

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি ছোট দেশ। ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সংকট এবং অনেক দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের অভাব সহ অনেক কারণে বাংলাদেশিদের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। যাইহোক, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, এবং বাংলাদেশীরা এখন সঠিক ডকুমেন্টেশন সহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে ভ্রমণ করতে পারে।

ঢাকা থেকে বাংলাদেশের প্রথম সরাসরি ফ্লাইট ২০১৫ সালে শুরু হয়। তখন থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং অনেক দেশ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য তাদের ভিসার প্রয়োজনীয়তা শিথিল করেছে।

সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

ক্রমিকদেশ
সৌদি আরব
সংযুক্ত আরব আমিরাত
ওমান
মালয়েশিয়া
কাতার
কুয়েত
বাহারাইন
ইটালি
সিঙ্গাপুর
১০জর্ডান
১১লেবানন
১২লিবিয়া
১৩যুক্তরাষ্ট্র
১৪কানাডা
১৫রোমানিয়া
১৬যুক্তরাজ্য
১৭ইরাক
১৮ব্রুনাই দারুসসালাম
১৯মরিশাস
২০ফ্রান্স
২১দক্ষিণ কোরিয়া
২২অস্ট্রেলিয়া
২৩ভারত
২৪লন্ডন
২৫সুইজারল্যান্ড
২৬মালদ্বীপ
২৭ডেনমার্ক
২৮ফিনল্যান্ড
২৯নিউজিল্যান্ড
৩০জ্যামাইকো
৩১চীন
৩২শ্রীলঙ্কা
৩৩কম্বোডিয়া
৩৪অস্ট্রেলিয়া
৩৫থাইল্যান্ড
৩৬জাপান

 

বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয়তা

আপনি যদি একজন বাংলাদেশী নাগরিক হন, তাহলে আপনার আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য একটি পাসপোর্ট এবং একটি ভিসা প্রয়োজন। পাসপোর্ট হল একটি নথি যা আপনাকে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করে এবং আপনাকে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেয়।

পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আপনাকে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট বিভাগে আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সহজবোধ্য এবং কিছু নথির প্রয়োজন যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম শংসাপত্র, এবং পাসপোর্ট আকারের ফটোগ্রাফ।

একবার আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে, আপনি যে দেশে যেতে চান সেখানে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। একটি ভিসা একটি নথি যা আপনাকে একটি বিদেশী দেশে প্রবেশ করতে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেখানে থাকার অনুমতি দেয়।

ভিসার প্রয়োজনীয়তা দেশ ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তার দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে আপনাকে চেক করতে হবে।

কিছু দেশ বাংলাদেশী নাগরিকদের সীমিত সময়ের জন্য ভিসা ছাড়াই প্রবেশের অনুমতি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশী নাগরিকরা ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়াই নেপাল, ভুটান এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের অনেক দেশে যেতে পারেন। যাইহোক, এই দেশগুলিতে প্রবেশের জন্য আপনার এখনও একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং অন্যান্য নথির প্রয়োজন।

ঝামেলামুক্ত আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য টিপস

আন্তর্জাতিক ভ্রমণ অপ্রতিরোধ্য হতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি আপনার প্রথমবার হয়। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে মসৃণ এবং ঝামেলামুক্ত করার জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

১। এগিয়ে পরিকল্পনা
সামনের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ভ্রমণের তারিখের আগে আপনার কাছে পাসপোর্ট, ভিসা এবং টিকিটগুলির মতো সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি রয়েছে তা নিশ্চিত করুন। এছাড়াও, সংস্কৃতি, আবহাওয়া এবং রীতিনীতি সহ আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তা নিয়ে গবেষণা করুন।

২। স্মার্টলি প্যাক করুন
হালকা প্যাক করুন এবং শুধুমাত্র আপনার ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি আনুন। ওষুধ, চার্জার এবং ভ্রমণের নথি সহ আপনাকে যে জিনিসগুলি আনতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করুন। এছাড়াও, কোনো অসুবিধা এড়াতে আপনার এয়ারলাইনের লাগেজ সীমাবদ্ধতা পরীক্ষা করুন।

৩।  নিরাপত্তা চেকের জন্য প্রস্তুত থাকুন
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষা রয়েছে এবং তাদের জন্য প্রস্তুত থাকা অপরিহার্য। মেটাল ডিটেক্টরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার আগে কোনও ধাতব বস্তু যেমন বেল্ট এবং গয়নাগুলি সরান। এছাড়াও, পরিদর্শনের জন্য আপনার তরল এবং ইলেকট্রনিক্স একটি পৃথক ব্যাগে রাখুন।

৪। স্থানীয় আইন এবং কাস্টমস অনুসরণ করুন
প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন এবং রীতিনীতি রয়েছে এবং তাদের সম্মান করা অপরিহার্য। আপনার ভ্রমণের আগে স্থানীয় আইন ও রীতিনীতি নিয়ে গবেষণা করুন এবং সেই অনুযায়ী অনুসরণ করুন। এছাড়াও, স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ করার জন্য স্থানীয় ভাষার কিছু মৌলিক বাক্যাংশ শিখুন।

উপসংহারঃ 
বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজলভ্য। সঠিক নথি এবং প্রস্তুতির সাথে, আপনি বৈধভাবে এবং সরকারীভাবে বিশ্বব্যাপী যেকোনো দেশে যেতে পারেন। যাইহোক, একটি মসৃণ এবং ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ অভিজ্ঞতার জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করা, স্মার্টভাবে প্যাক করা, নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকা এবং স্থানীয় আইন ও রীতিনীতি অনুসরণ করা অপরিহার্য।

FAQs

১। বাংলাদেশী নাগরিকরা কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারবেন?
হ্যাঁ, বাংলাদেশি নাগরিকরা বৈধ ভিসা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস পর্যটক, ব্যবসা এবং ছাত্র ভিসা সহ বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করে। যাইহোক, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হতে পারে এবং এর জন্য বেশ কিছু নথির প্রয়োজন হয়।

২।  আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করার আগে আমার কি টিকা নেওয়া দরকার?
এটি নির্ভর করে আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর। কিছু দেশে প্রবেশের আগে নির্দিষ্ট টিকা প্রয়োজন, অন্যরা তা করে না। আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা এবং আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তার দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

৩। আমি কি আমার বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে ইজরায়েলে যেতে পারি?
হ্যাঁ, আপনি বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে ইজরায়েলে যেতে পারেন। তবে বাংলাদেশের সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং ভিসা পাওয়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আরও তথ্যের জন্য ইসরায়েলি দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাথে চেক করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

৪। আমি কি ভিসা ছাড়া কোন দেশে যেতে পারি?
না, সব দেশ বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে দেয় না। যাইহোক, কিছু দেশ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা শিথিল করেছে, যেমন নেপাল, ভুটান এবং ক্যারিবিয়ান অনেক দেশ।

৫।  বাংলাদেশে পাসপোর্ট পেতে কতক্ষণ সময় লাগে?
বাংলাদেশে পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া প্রায় ৭-১০ কার্যদিবস সময় নেয়। যাইহোক, পিক সিজনে বা অতিরিক্ত নথির প্রয়োজন হলে বেশি সময় লাগতে পারে।