
বিশিষ্ট সাংবাদিক আলী হাবিব (৬১) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। বিকেলে অফিসে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখেন। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বুধবার বাদ জোহর ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাদার কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
জানা যায়- প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও সকাল ১১টায় অফিসে ঢুকে নিজের কাজগুলো করছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কালের কণ্ঠের সহকারী সম্পাদক আলী হাবিব। বিকেলে নিয়মিত পাতা দেখার অংশ হিসেবে সম্পাদকীয় পাতাও তিনিই দেখে দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করলে সহকর্মীরা প্রেসার পরীক্ষা করেন। এ সময় প্রেসার সঠিক না থাকায় সহকর্মীরা তাঁকে রোজা ভেঙে স্যালাইন পান করতে বলেন।
তিনি আরেকটু অপেক্ষা করে ঠিক হয় কি না দেখতে চান। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তিনি নিজের টেবিলের ওপর মাথা রেখে হেলে পড়েন। এরপর সহকর্মীরা তাঁকে গাড়িতে তুলে নিকটস্থ এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখেন।
সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করান। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি স্ত্রী, একমাত্র ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলেছে, বাংলাদেশের নারী অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মহিলা পরিষদের অন্যতম এক সুহৃদ ছিলেন আলী হাবিব।
তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিলেন। তিনি হাবিব ছিলেন নন্দিত ছড়াশিল্পী। কথাসাহিত্যেও তাঁর সমান বিচরণ ছিল। ছড়া দিয়ে লেখালেখি শুরু করেছিলেন তিনি।