
গাজীপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। বেসরকারি এই সংস্থা বলেছে, এ ধরনের ঘটনা কেবল অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, সৎ সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এই ঘটনা অশনিসংকেত। শনিবার এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করে এমএসএফ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এসময় দৌড়ে তিনি ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা তাঁকে দোকানের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি মারা গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
বিবৃতি সংগঠনটি জানায়, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক যুবককে মারধর ও ধাওয়া দেওয়ার ঘটনা ভিডিও করায় সাংবাদিক তুহিনকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। একজন সাংবাদিকের ওপর এভাবে আক্রমণ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অশনিসংকেত। অন্তর্বর্তী সরকার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে। সরকার দেশের সব নাগরিকের মতো সাংবাদিকদেরও নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন বাধা দেওয়া, ভয় দেখানো এবং চিরতরে তাঁদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার ভয়ঙ্কর অপতৎপরতার উদাহরণ হচ্ছে এই ঘটনা। সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রত্যেক সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’
বিবৃতিতে তুহিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানায় এমএসএফ।