বলিউডের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, সৌন্দর্য আর প্রতিভার অনন্য মিশেল— ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সাবেক বিশ্বসুন্দরী হয়েও তিনি শুধু রূপেই নয়, অভিনয় প্রতিভায় জয় করেছিলেন কোটি দর্শকের মন। পর্দায় তার উপস্থিতি ছিল এক অন্যরকম জাদু, আর সেই জাদুর সঙ্গী হয়েছিলেন বলিউডের ভাইজান সালমান খান।
তাদের প্রেমের রসায়ন শুধু সিনেমার পর্দাতেই নয়, বাস্তবেও আলোড়ন তুলেছিল গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই সম্পর্ক ভেঙে যায় ভীষণ কষ্টের মধ্য দিয়ে।
সম্প্রতি খ্যাতনামা পরিচালক প্রহ্লাদ কাক্কর এক সাক্ষাৎকারে শেয়ার করেছেন অনেক অজানা তথ্য। ঐশ্বরিয়ার মায়ের অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন তিনি, আর সেখানেই কাছ থেকে দেখেছেন এই তারকার উত্থান-পতন।
প্রহ্লাদের ভাষায়, সালমান ছিলেন ভীষণ ‘পজেসিভ’। ঐশ্বরিয়ার প্রতি তার অধিকারবোধ এতটাই তীব্র ছিল যে, সেটা প্রায়শই রূপ নিত ঝগড়ায়, এমনকি বিশৃঙ্খলায়। লবিতে চিৎকার, দেওয়ালে মাথা ঠোকা—এসব কাণ্ড নাকি প্রায়ই ঘটাতেন সালমান।
তিনি আরও বলেন, ঐশ্বরিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় আঘাত ছিল—সালমানের কারণে ইন্ডাস্ট্রির কাছ থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া। প্রহ্লাদের মতে, সম্পর্ক ভাঙার ঘটনা ঐশ্বরিয়ার কাছে অবাক করার মতো ছিল না, কারণ তিনি জানতেন একসময় এটা অনিবার্য।
আসলে এই বিচ্ছেদ তার জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছিল। তবে কষ্টের জায়গা ছিল অন্যত্র—ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই দাঁড়িয়েছিল সালমানের পাশে, অথচ ঐশ্বরিয়ার পাশে ছিল না কেউ।
প্রহ্লাদ দাবি করেন, এই ঘটনার পর থেকেই ঐশ্বরিয়া ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আস্থা হারান। আগে তিনি ভীষণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন, কিন্তু ওই বিশ্বাস আর ফিরে পাননি। তার মনে হয়েছিল, সবকিছু একপাক্ষিক ছিল, তিনি ভীষণভাবে প্রতারিত হয়েছিলেন।
অতীতের সেই ঝড়ঝাপটার পর আজ তিনি বচ্চন পরিবারের বধূ, মা, এবং একজন আন্তর্জাতিক আইকন। তবে সালমান-ঐশ্বরিয়ার সেই অসমাপ্ত প্রেমকাহিনি আজও বলিউডের ইতিহাসে আলোচিত অধ্যায় হয়ে আছে।