বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় শপিং সিটিতে হামলা ও ভাংচুরের মামলায় আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। ১৬ জনকে জামিনে মুক্তি ও ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক ধ্রুব জ্যোতি পাল ১৬ জনকে জামিনে এবং ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সিলেট জেলা বারের অ্যাডভোকেট শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিন নামঞ্জুর করা নেতাকর্মীরা হলেন, বিশ্বনাথ উপজেলার মুফতিরগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রাজন আহমদ অপু ও উপজেলা যুবলীগ নেতা, মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে আবুল হোসেন ও জানাইয়া (মাশুল্লা) উপজেলা যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন মামুন। মুফতিরগাঁও গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. কড়িকোনা (দুর্গাপুর) গ্রামের আব্দুল মতিন ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফারাবী ইমন ইসলাম, জানাইয়া (মাশুল্লা) গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আহমদ রিপন ও জানাইয়া (মশুল্লা) গ্রামের মৃত সমর আলীর ছেলে কাইশ আহমদ ও কাইশ আহমদ। উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো.
মামলায় জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বনাথ জানাইয়া (মশুল্লা) গ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে রাজন মিয়া ও উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক, সমুজ আলীর ছেলে নাসির মিয়া ও একই গ্রামের যুবলীগ নেতা কামরান আহমদ, মো. শফিক মিয়ার ছেলে ও ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হকের ছেলে ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. ইসলাম আহমদ, সমুজ মিয়ার ছেলে আবুল মিয়া, ইলাই ওরফে জাকির মিয়ার ছেলে ইলাই, হাজী রায় আলীর ছেলে আফিজ আলী, আজফার আলীর ছেলে ও যুবলীগ নেতা জমির আলী, সাড়ুয়ালা গ্রামের আজিজুলের ছেলে নাহিদ আহমেদ, শ্রীধরপুর গ্রামের রুকন আলীর ছেলে ও সিলেটের আইনজীবী মো. কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল বাতিন, একই গ্রামের শাহজাহান সিরাজের ছেলে ও মো. ছাত্রলীগ নেতা রেজা মিয়া, নতুন বাজারের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা বিশ্বনাথ হেলাল আহমেদ, কামালপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল আলী, বিশ্বনাথ নতুন বাজারের বাসিন্দা ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান। খয়খৈর গ্রামের নিরেশ বর্ধনের ছেলে হাবিব ও ছাত্রলীগ নেতা মিল্টন বর্ধন ও আলী আকবর মিলনের ছেলে ইমরান আহমদ। দৌলতপুর গ্রাম।
শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম ইয়াহিয়া চৌধুরী (সুহেল) এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মিনহাজ গাজী ও অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম ইয়াহিয়া চৌধুরী (সুহেল) জানান, মামলায় আত্মসমর্পণ করা আওয়ামী লীগের ২২ নেতাকর্মী জামিন চাইলে আদালত ১৬ জনকে জামিন এবং ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে এ মামলায় গ্রেফতার ৫ জন এবং জামিনে রয়েছেন ৪ জন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট সিলেটের আল-হেরা শপিং সিটিতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে চলতি বছরের ১৮ আগস্ট আল-হেরা শপিং সিটির চেয়ারম্যান ছাদেকুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। দায়ের করা মামলায় তিনি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৮৩ নেতাকর্মীকে আসামি করেন। আর অজ্ঞাতনামা আসামি ৫০-৬০ জন।