
সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ৯২ কন্যাশিশু, ১৩২ নারীসহ ২২৪ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩২ কন্যাশিশু ও ২১ নারী। ধর্ষণের পরে হত্যার শিকার হয়েছেন এক নারী। এ ছাড়া ৯ কন্যাশিশুসহ ১১ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সংগঠনের লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র এক মাসে ১৩ কন্যা ও ৫১ নারীসহ ৬৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন দুজন। রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রাণ গেছে চার কন্যাশিশু ও ১৮ নারীর। আত্মহত্যা করেছেন পাঁচ কন্যাশিশু ও ১০ নারী, যাদের অনেকে নির্যাতনের প্ররোচনায় নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছেন। যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৯ জন। এদের মধ্যে ৯ কন্যাশিশু যৌন নিপীড়নের শিকার, পাঁচ কন্যাশিশু উত্ত্যক্তকরণের এবং আরও একজন সাইবার সহিংসতার শিকার। এক নারী এসিডদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন, আরেকজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। গৃহকর্মী দুই নারীও পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে পাঁচ কন্যাশিশুসহ মোট সাতজন অপহৃত হয়েছেন। অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে এক কন্যাশিশুকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার দুই কন্যাশিশু ও ৯ নারী। সেপ্টেম্বরে বাল্যবিয়ের শিকার এক কন্যাশিশু। দুজনকে বাল্যবিয়েতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের ঘটনায় তিনটি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে।