সেরা ছবি ‘সাঁতাও’ নাকি ‘আদিম’

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেওয়া হবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২৩ বিজয়ীদের পুরস্কার। এর আগে আগামী সপ্তাহে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে আগামী সপ্তাহে। ইতোমধ্যে জুরি বোর্ড তাদের নম্বর ও সুপারিশ জমা দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে। সেখানে ‘শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের তালিকায় নাম রয়েছে ‘সাঁতাও’ ও ‘আদিম’ ছবি দুটি।

জানা গেছে, জুরি বোর্ডের দেওয়া নম্বরে এগিয়ে রয়েছে খন্দকার সুমন পরিচালিত ‘সাঁতাও’ ছবিটি। এরপর পরেই রয়েছে যুবরাজ শামীম পরিচালিত ‘আদিম’ ছবিটি। এ দুটির মধ্যে নম্বরের ব্যবধান পয়েন্ট ১ থেকে পয়েন্ট ২। banglanewsbdhubকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘সাঁতাও’ এককভাবে সেরা ছবির পুরস্কার পেতে পারে। তবে, ‘আদিম’-কেও যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া হতে পারে─এমন চিন্তাও করা হচ্ছে বলে সূত্রটি জানান।

২০২৩ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সেরা ছবি হয়েছিল ‘সাঁতাও’। খন্দকার সুমন পরিচালিত ছবিটি জলবায়ু, পরিবেশ, সর্বোপরি মাতৃত্বের গল্প বলে। কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সর্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্টির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় গল্প চলচ্চিত্রের পর্দায় হাজির করেছে চলচ্চিত্র “সাঁতাও’’।

গণ-অর্থায়নে নির্মিত ‘সাঁতাও’-এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক। ‘‘সাঁতাও’’ চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন খন্দকার সুমন, সহকারি পরিচালক হিসাবে ছিলেন শ্যামল শিশির, সুপিন বর্মণ ও মাসুদ রানা নকীব, সম্পাদনা, রং-বিন্যাস, এফেক্ট ও টাইটেল, সাউন্ড ডিজাইন ও সাউন্ড মিক্সিং করেছেন সুজন মাহমুদ, শব্দ গ্রহণে ছিলেন নাহিদ মাসুদ, চিত্রগ্রহণে ছিলেন সজল হোসেন, ইহতেশাম আহমদ টিংকু ও খন্দকার সুমন, আবহ সংহীত করেছেন মাহমুদ হায়াৎ অর্পণ, গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান রাব্বী, লায়লা তাজনূর সাউদী, লিমা হক, শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন রবি দেওয়ান, পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন আফ্রিনা বুলবুল, নৃত্য পরিচালনা করেছেন ফাহিম রায়হান, রূপসজ্জা করেছেন ফরহাদ রেজা মিলন, পোস্টার ডিজাইন করেছেন সাজ্জাদুল ইসলাম সায়েম।

অন্যদিকে ২০২২ সালে রাশিয়ার মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দুটি পুরস্কার পায় ‘আদিম’। এ ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন তারা সকলেই প্রায় বস্তির বাসিন্দা। সিনেমার প্রধান চরিত্র ল্যাংড়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বাদশা। ৩৫ জনের মধ্য থেকে তাকে বাছাই করা হয়। সিনেমার বাকি চরিত্রের মধ্যে সোহাগী খাতুন, দুলাল মিয়া, সাদেককেও বস্তিতেই খুঁজে পেয়েছেন নির্মাতা।

গল্প এগিয়েছে ল্যাংড়ার ভাসমান জীবন নিয়ে। একটি অপরাধের দায় এড়াতে সে এক রেলওয়ে স্টেশন থেকে অন্য রেলওয়ে স্টেশনে ঘুরে বেড়ায়। যেখানেই যায় সেখানেই কারো না কারো সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় তার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে কালা নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর। কালার বউ সোহাগীকে ল্যাংড়ার মনে ধরে। ল্যাংড়া সোহাগীর প্রণয় জমে ওঠে। এরপর ঘটতে থাকে আরেক ঘটনা ও গল্প চলতে থাকে নিজ স্রোতে।

সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছে পরিচালক নিজেই। এডিটিংও করেছেন তিনিই । সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন আমির হামযা। কালার গ্রেডিং, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, সাউন্ড ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন সুজন মাহমুদ। ছোট একটা টিম নিয়ে ৮৪ মিনিটের ছবিটি বানিয়েছেন যুবরাজ শামীম।

banglanewsbdhub/এজেডএস

আদিম
সাঁতাও

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।