
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন স্বামী। হত্যার পর লাশ ১১ টুকরো করে গুম করার চেষ্টায় মামলা হয়। এ মামলায় প্রধান আসামি ঘাতক স্বামী সুমনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। শনিবার (১২ জুলাই) র্যাব-৭ চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ও র্যাব-০৯-এর যৌথ আভিযানিক দল ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার সুমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাদের ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আসামি সুমন কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি আবর যার। তবে ভিসাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে গত ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরে আসেন। এরপর চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিজের একটি পিকআপ গাড়ি চালাতে শুরু করেন। দেশে ফিরে আসার পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। তাদের বিবাদ নিয়ে একাধিকবার উভয় পরিবারের মধ্যে আপস-মিমাংসাও করা হয়।
গত ৯ জুলাই রাতে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন যুবক তাদের বাসায় আসাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ঘাতক সুমন ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিম ফাতেমা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে লাশ গুম করার উদ্দেশে ১১ টুকরো করে কমডে ফ্লাস করার চেষ্টা করে সুমন।