স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:০২
ঢাকা: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ‘স্বৈরশাসন অবসানের পর দেশ স্থিতিশীল করতে এবং জনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ডেভিল নিধন অপরিহার্য ছিল। সরকার দেরিতে হলেও সেই কাজ শুরু করেছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ।’
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলনের সচিব পর্ষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের আস্ফালন ও অপরাধীদের নিরাপদে বিচরণ করার খবর জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে, যার সর্বশেষ বহি:প্রকাশ দেখা গেছে গত কয়েক দিনে। একটি কার্যকর রাষ্ট্রে আইন বহির্ভুত ভাংচুর গ্রহণযোগ্য না হলেও স্বৈরাচারের নির্লজ্জতা তার পটভূমি এবং ন্যায্যতা তৈরি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিপ্লবের পর স্বৈরাচারের বিচারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হয়। সেজন্য অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে বলে আমরা আশা করি। তবে কোনো অবস্থাতেই যেন আইনের ব্যত্যয় না ঘটে। অপরাধী যতো বড়ই হোক বা তার পাপের পাল্লা যতো ভারীই হোক, তার বিচার আইনের মাধ্যমেই হতে হবে এবং আইন প্রয়োগে অবশ্যই বিদ্যমান রীতি-নীতির কঠোর অনুসরণ করতে হবে।’
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় বলা যায় যে, এ ধরনের অপারেশনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরাপরাধ মানুষ ফেঁসে যায়। তথ্যের গড়মিল,গণধরপাকড় ইত্যাদির কারণে সাধারণ মানুষ হয়রানীর শিকার হয়। সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়গুলোতে সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ও হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, কেএম আতিকুর রহমান।
বাংলানিউজবিডিহাব/এজেড/এসডব্লিউ