স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৬ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫২
ঢাকা: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব চুক্তি সই করতে হবে। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তির সময় আর বাড়ানো হবে না। বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি এজেন্সির অবহেলায় হজব্রত পালন করতে না পারলে এর দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জুরুল হক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজ সার্ভিস কোম্পানির সাথে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি গত বছরের ২৩ অক্টোবর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় হতে জানানো হয়। পরবর্তীতে আরো কয়েকবার পত্র মারফত আমাদেরকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং সে মোতাবেক ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সকল হজ এজেন্সিকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সাথে সব ধরনের চুক্তি সম্পাদন করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, হজ ও উমরাহ বিধিমালা ২০২২ অনুসারে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি ভাড়া করার লক্ষ্যে ধর্ম সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। এ বছর এ কমিটিতে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দুইজন ও জেদ্দা কনস্যুলেটের দুইজন প্রতিনিধি কো-অপ্ট করা হয়। এই কমিটি বাড়ি ভাড়ার জন্য প্রাপ্ত কোটেশনের আলোকে বাড়িগুলোর মান, আনুষঙ্গিক সুবিধা, হারাম শরীফ হতে দূরত্ব, হজ প্যাকেজে প্রতিশ্রুত সেবা ও বাড়িভাড়া বাবদ বরাদ্দ প্রভৃতি বিষয় চুলচেরা বিশ্লেষণ করে সর্বোত্তম বাড়িগুলো ভাড়া করেছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ বছর সরকারি মাধ্যমে সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ এ নিবন্ধিত হজযাত্রীদের জন্য মক্কায় হারাম শরিফের বহির্চত্বর থেকে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়িভাড়া করা হয়েছে। এজন্য এই প্যাকেজের বাড়িভাড়া ও পরিবহন সেবা খাতের টাকা সমন্বয় করা হয়েছে। অন্যদিকে, সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের জন্য মক্কায় যে সকল হোটেল ভাড়া করেছি সেগুলোর সর্বোচ্চ দূরত্ব হবে ১ দশমিক ২ কিলোমিটার। এছাড়া মদিনায় হজ প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ এক কিলোমিটারের মধ্যে এবং হজ প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীদের জন্য ৩০০-৬০০ মিটারের মধ্যে হোটেল ভাড়া করা হয়েছে।
ড. খালিদ বলেন, হজ প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীরা মিনায় জোন-৫ এর তাঁবুতে অবস্থান করবেন এবং হজ প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীরা মিনায় জোন-২ এর তাঁবুতে অবস্থান করবেন। তিনি আরো বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্বস্ত হজ সেবা প্রদানকারী কোম্পানীসমূহের সাথে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। এবছর সরকারি মাধ্যমে হাজীগণ সন্তোষজনক সেবা পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলানিউজবিডিহাব/এএইচএইচ/আরএস