ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৭ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৩
ঢাকা: দীর্ঘ পাঁচ মাস পর ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে শহিদ মোহাম্মদ হাসানের লাশকে শনাক্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করে ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর রাজু ভাস্কর্যের সামনে শহিদ হাসানের লাশ হস্তান্তরের আগে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার কফিন নিয়ে মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এ সময় ‘খুনি কেন বাহিরে, আমার ভাই কবরে’, ‘শহিদ হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই’, ‘ব্যান, ব্যান, আওয়ামী লীগ’ সহ নানা স্লোগান দেয় ছাত্র-জনতা।
জানাজায় হাসানের বাবা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে থাকতেন। ৫ আগস্ট থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ভোলা থেকে ঢাকায় এসে আমরা তাকে সবদিকে খুঁজেছি। ৫ মাস ১২ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মৃতদেহ দেখে আমার ছেলে বলে অনুমান করি। আরও এক মাস পর ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হই মৃতদেহটি আমার ছেলেরই।’
তিনি বলেন, ‘এতদিনে কেউ আমাকে কোনো সাহায্য করেনি। আমি হত্যাকারীদের প্রত্যেকের বিচার চাই। আমার ছেলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মুহিবুল ছেলের সন্ধান করতে গেলে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, আমি তারও বিচার চাই।’
এ ছাড়া, মিছিলে ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
ভোলা থেকে আগত ফরিদ আহমেদ মিছিল শেষে বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় মাস হয়ে গেছে, আমরা এখনো আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি। তারা এখনো আমাদের হুমকি দেয়। আমাদের ছাত্রদের নির্বিচারে হত্যা করেও চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ হত্যার বিচার চাই। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মত জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হোক।’
বাংলানিউজবিডিহাব/এআইএন/এমপি