২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্বপালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন ৩৩ কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এই কর্মকর্তারা বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. তৌহিদ বিন হাসানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ অবিলম্বে জনস্বার্থে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এইসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যখন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তখন রাতের ভোট দিনে হয়। ওই নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি বিতর্কিত নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

ওএসডি করা কর্মকর্তা হলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. মো. আতাউল গনি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোস্তফা কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব অঞ্জন চন্দ্র পাল, পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা মোছা. সুলতানা পারভীন, উপজেলা সদর হতে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক (কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন) পরিচালক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, মো. শহিদুল ইসলাম, জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সচিব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. হেলাল হোসেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (নির্বাহী পরিচালক, শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্ট হিসেবে বদলির আদেশাধীন) মো. আলী আকবর।

এ ছাড়াও রয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মাজেদুর রহমান খান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক এস এম অজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের গোপাল চন্দ্র দাশ, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, রাজউক’র সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মিজ আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’র সদস্য সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মাহমুদুল কবীর মুরাদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক মঈন উল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ কে এম মামুনুর রশিদ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এস, এম, আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) সদস্য ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড পরিচালক মো. মাহমুদুল আলম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড পরিচালক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৮ সালে এ সকল কর্মকর্তা বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে একই কারণে আরও ১২ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়।

বাংলানিউজবিডিহাব/জেআর/পিটিএম

ওএসডি
টপ নিউজ
যুগ্ম সচিব

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।