২২ ক্যারেট সোনার দাম হলো আজকের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা। আজকের বাংলাদেশ জুয়েলার্স রিপোর্ট অনুযায়ী ২২ ক্যারেট সোনার দাম ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পূর্বে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা, ২২ ক্যারেট (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ৬৮৩ টাকা। সুতরাং সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান ২২ ক্যারেট সোনার দাম হয়েছে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা।।
২২ ক্যারেট সোনার দাম
সোনার পরিমাণ | বর্তমান দাম | পূর্বের দাম | দাম বেড়েছে |
২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) | ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা | ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা | ২ হাজার ৬৮৩ টাকা |
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি | ৮৯ হাজার ১৭১ টাকা | ৮৬ হাজার ৬০৫ টাকা | ২ হাজার ৫৬৬ টাকা |
১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি | ৭৬ হাজার ৪৫৮ টাকা | ৭৪ হাজার ২৪১ টাকা | ২ হাজার ২১৭ টাকা |
সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে | ৬৩ হাজার ৬৮৫ টাকা | ৬১ হাজার ৮৭৮ টাকা | ১ হাজার ৮০৭ টাকা |
আরো জানুনঃ
২২ ক্যারেট সোনার দাম
- প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের দাম (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
- ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৫৬৬ টাকা বাড়িয়ে, ৮৯ হাজার ১৭১ টাকা করা হয়েছে।
- ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ২১৭ টাকা বাড়িয়ে, এখন বিক্রি হবে ৭৬ হাজার ৪৫৮ টাকা
- সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৮০৭ টাকা বাড়িয়ে, নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৬৮৫ টাকা
২২ ক্যারেট সোনার দাম বাড়ার কারণ
বাংলাদেশে সোনার দাম স্থির নয় এবং বিভিন্ন কারণের কারণে ঘন ঘন ২২ ক্যারেট সোনার দাম ওঠানামা করে। সোনার দামকে প্রভাবিত করে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হল:
গ্লোবাল ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাইঃ বিশ্ববাজারে সোনার চাহিদা ও সরবরাহ সোনার দাম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বর্ণের চাহিদা বেশি হলে, সরবরাহ কম হলে সোনার দাম বাড়বে, এবং তদ্বিপরীত হবে।
অর্থনৈতিক অবস্থাঃ অর্থনৈতিক অবস্থা, যেমন মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার ওঠানামা, এবং সুদের হার, সোনার দামকেও প্রভাবিত করে। যখন অর্থনীতি অস্থির থাকে, এবং মুদ্রাস্ফীতি বেশি থাকে, তখন লোকেরা সোনায় বিনিয়োগ করার প্রবণতা রাখে, যা এর চাহিদা এবং দাম বাড়ায়।
রাজনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাঃ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও সোনার দামকে প্রভাবিত করে। যখন বিশ্বে অশান্তি বা দেশগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, তখন লোকেরা নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে সোনায় বিনিয়োগ করার প্রবণতা রাখে, যা এর চাহিদা এবং দাম বৃদ্ধি করে।
গোল্ড রিজার্ভঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে থাকা সোনার রিজার্ভও সোনার দামকে প্রভাবিত করে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি যখন সোনা ক্রয় বা বিক্রি করে, তখন এটি সোনার বিশ্বব্যাপী সরবরাহকে প্রভাবিত করে, যার ফলে সোনার দাম প্রভাবিত হয়।
২২ ক্যারেট আসল এবং নকল সোনার মধ্যে পার্থক্য
আসল সোনা এবং নকল সোনার মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হল। আসল সোনা এবং নকল সোনার মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে জানতে পারবেঃ
বস্তু রচনা | খাঁটি সোনা | নকল সোনা |
বস্তু রচনা | খাঁটি সোনা এবং অন্যান্য ধাতু দিয়ে তৈরি | সোনার পাতলা স্তর দিয়ে প্রলেপ দেওয়া অ-স্বর্ণ ধাতু দিয়ে তৈরি |
স্থায়িত্ব | টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী | পরিধান এবং ছিঁড়ে প্রবণ, এবং সময়ের সাথে বিবর্ণ বা কলঙ্কিত হতে পারে |
বিশুদ্ধতা | ক্যারাটে পরিমাপ (22K এবং 24K খাঁটি সোনা) | ক্যারাটে পরিমাপ করা হয় না, যেহেতু এটি আসল সোনা নয় |
মান | বিশুদ্ধতা এবং বিরলতার কারণে উচ্চ মান | বিশুদ্ধতা এবং প্রাচুর্যের অভাবের কারণে নিম্ন মান |
ওজন | নকল সোনার চেয়েও ভারী | আসল সোনার চেয়ে হালকা |
হলমার্ক | এর বিশুদ্ধতা নির্দেশ করে একটি হলমার্ক বা স্ট্যাম্প আছে | একটি হলমার্ক বা স্ট্যাম্প নেই |
পরীক্ষামূলক | অ্যাসিড বা ইলেকট্রনিক পরীক্ষা ব্যবহার করে বিশুদ্ধতার জন্য পরীক্ষা করা যেতে পারে | বিশুদ্ধতা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয় |
চেহারা | একটি স্বতন্ত্র হলুদ রঙ এবং দীপ্তি আছে | বাস্তব সোনার মতো দেখতে কিন্তু একই চকচকে এবং রঙের অভাব রয়েছে |
দাম | উচ্চ মূল্য এবং বিশুদ্ধতার কারণে উচ্চ মূল্য | মান এবং বিশুদ্ধতার অভাবের কারণে কম দাম |
আসল এবং নকল সোনার মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হওয়া গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন বিনিয়োগ বা কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আসল সোনা হল একটি মূল্যবান এবং চাওয়া-পাওয়া পণ্য, যখন নকল সোনা প্রতারণামূলক এবং সামান্য থেকে কোন মূল্যেরও হতে পারে।
““