৪ ইসরায়েলি নারী জিম্মির বিনিময়ে মুক্তি পাচ্ছে ১৮০ ফিলিস্তিনি

Featured Image
PC Timer Logo
Main Logo

যুদ্ধবিরতি চুক্তি মোতাবেক মুক্তি পাচ্ছেন চার ইসরায়েলি নারী জিম্মি, যারা ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে নজরদারি ইউনিটে কাজ করতেন

গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) চার ইসরায়েলি নারী জিম্মি মুক্তি পাবে বলে ঘোষণা করেছে হামাস। তারা হলেন কর্পোরাল কারিনা আরিভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নাআমা লেভি এবং লিরি আলবাগ। এই মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল ১৮০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। বিবিসির প্রচারিত সংবাদে এ তথ্য জানা গেছে।

এটি যুদ্ধবিরতির পর দ্বিতীয়বারের মতো জিম্মি ও বন্দি বিনিময়। গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর প্রথম দফায় তিনজন জিম্মি এবং ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

মুক্তি পেতে যাওয়া চার নারী ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে নজরদারি ইউনিটে কাজ করতেন। নাহাল ওজ সামরিক ঘাঁটি থেকে হামাস তাদের আটক করেছিল।

৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া হিসেবে শুরু হওয়া আক্রমণে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ৪৭ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের তালিকায় আরবেল ইয়াহুদ নামে এক ইসরায়েলি নারীর নাম থাকার কথা থাকলেও তার নাম বাদ পড়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সম্ভবত ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) তাকে আটক রেখেছে।

হামাস আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে মুক্তি পেতে যাওয়া ২৬ জন জিম্মির বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুক্তি পেতে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত এবং ১৫ বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। তবে ৭ অক্টোবর হামলায় অংশ নেওয়া কেউ মুক্তি পাবে না বলে ইসরায়েল জানিয়েছে।

হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়েছে। এটি তিন ধাপে কার্যকর হবে, যার প্রথম ধাপে ৩৩ জন জিম্মির বিনিময়ে প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে।

এই যুদ্ধবিরতি গাজায় চলমান যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির জন্য একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলানিউজবিডিহাব/এনজে

ইসরায়েল
গাঁজা
জিম্মি
বন্দি
মুক্তি
যুদ্ধবিরতি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।