৬ ফুট লম্বা হওয়ার উপায় – লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুল অফ মেডিসিনের চিকিৎসকদের একটি দল সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে লম্বা হওয়ার জন্য জিন ছাড়াও পরিবেশগত কারণগুলিও একটি ভূমিকা পালন করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে প্রোটিন এবং হরমোনগুলির মাত্রা গর্ভস্থ শিশুর উচ্চতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভবতী মহিলাদের রক্তে প্রোটিন IGF-1 এর মাত্রা বেশি হলে তাদের সন্তানদের উচ্চতা বেশি হয়। IGF-1 একটি হরমোন যা কোষের বৃদ্ধি এবং বিভাজনকে প্রভাবিত করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে গর্ভবতী মহিলাদের রক্তে হরমোন ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরনের মাত্রা বেশি হলে তাদের সন্তানদের উচ্চতা বেশি হয়।
গবেষণার প্রধান গবেষক, ডাক্তার লরেন জোর্দান বলেন, “আমাদের গবেষণা দেখায় যে লম্বা হওয়ার জন্য শুধুমাত্র জিন নয়, পরিবেশগত কারণগুলিও গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা অনুসরণ করা তাদের সন্তানদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।”
গবেষণায় ৯০০ জন গর্ভবতী মহিলার তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণাটি “পিলস” (প্ল্যানেটারি হরমোন এবং লম্বা) নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার ফলাফলগুলি লম্বা হওয়ার জন্য নতুন চিকিৎসার সম্ভাবনা তৈরি করে। গবেষকরা বলছেন যে IGF-1 এবং অন্যান্য হরমোনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবহার করে লম্বা হওয়া সম্ভব হতে পারে।
তবে, গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে এই চিকিৎসাগুলি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুল অফ মেডিসিনের চিকিৎসকদের একটি দল, ডাক্তার মিচেল ই। এটাই: –
মেয়েদের জন্য: [(বাবার উচ্চতা – 5 ইঞ্চি) + মায়ের উচ্চতা] দুই দিয়ে ভাগ করা
ছেলেদের জন্য: [(মায়ের উচ্চতা + 5 ইঞ্চি) + বাবার উচ্চতা] দুই দিয়ে ভাগ করা
তাহলে আনমানিক ধারনা পাবে, যে আপনার সন্তার উচ্চতা কত হবে। তবে এইটি অবশ্যই পরিবেশ, জিন, স্বাস্থ্য, এর উপর নিরর্ভর করে, কিছুটা হলেও।
আরো জানতে পারোঃ’
৬ ফুট লম্বা হওয়ার উপায়
অশ্বগন্ধা হল একটি ভেষজ উদ্ভিদ যা ভারত, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদে, অশ্বগন্ধা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ হিসেবে বিবেচিত হয় যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
অশ্বগন্ধায় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- স্টেরয়েড হরমোন
- অ্যামিনো অ্যাসিড
- ভিটামিন
- খনিজ
এই পুষ্টি উপাদানগুলি কঙ্কালের হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে, যা শরীরের হাড়কে প্রসারিত করে। এটি উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
উচ্চতা বাড়াতে অশ্বগন্ধা ব্যবহারের পদ্ধতি
- প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ অশ্বগন্ধার গুঁড়ো গরম পানি বা গরুর দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন।
- স্বাদে চিনি বা গুড় যোগ করুন এবং ভালভাবে মেশান।
- আপনার উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রথম রাতে কমপক্ষে ৪৫ দিন ঘুমানোর আগে প্রতি রাতে পান করুন।
- অশ্বগন্ধা গ্রহণের সময় ফাস্ট ফুড পুরোপুরি এড়িয়ে চলা উচিত। ফাস্ট ফুডে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং চর্বি থাকে যা উচ্চতা বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
অশ্বগন্ধা গ্রহণের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অশ্বগন্ধা সাধারণত নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যেমন:
- মাথা ঘোরা
- বমি বমি ভাব
- অনিদ্রা
- হজমে সমস্যা
যদি আপনি অশ্বগন্ধা গ্রহণের পরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তবে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
উচ্চতা বাড়াতে অশ্বগন্ধা একটি কার্যকর উপায় হতে পারে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি একটি চটজলদি সমাধান নয়। উচ্চতা বৃদ্ধি একটি ধীর প্রক্রিয়া এবং অশ্বগন্ধা গ্রহণের জন্য কমপক্ষে ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে।
৬ ফুট লম্বা হওয়ার জন্য দুধ পান করুন
দুধ পান করলে লম্বা হওয়া যায়
লম্বা হওয়ার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। তাই দুধ পান করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় এবং হাড় শক্ত হয়। ফলে ব্যক্তি লম্বা হতে পারে।
আমেরিকান দুধে হরমোন থাকে
আমেরিকাতে গরুকে বিভিন্ন হরমোনের ইনজেকশন দেওয়া হয়। এই হরমোনগুলি দুধের উৎপাদন বাড়ায়। তবে এই হরমোনগুলি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আমেরিকান দুধ পান করা থেকে বিরত থাকুন।
বাংলাদেশে উৎপাদিত দুধ স্বাস্থ্যকর
বাংলাদেশে গরুকে হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয় না। তাই বাংলাদেশে উৎপাদিত দুধ স্বাস্থ্যকর। দুধ পান করলে শরীর ভালো থাকে। দুধে ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের জন্য ভালো। হাড় শক্ত হলে শরীর লম্বা হতে পারে। আমেরিকান দুধে হরমোন থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বাংলাদেশের দুধে হরমোন নেই। তাই বাংলাদেশের দুধ পান করা ভালো।
৬ ফুট লম্বা হওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম
আপনার উচ্চতা বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করুন
আপনার উচ্চতা বাড়ানোর জন্য ব্যায়াম করা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। ব্যায়াম শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টকে প্রসারিত করে, যা হাড়ের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। এছাড়াও, ব্যায়াম শরীরের হরমোনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, যা উচ্চতার বৃদ্ধিকেও প্রভাবিত করে।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে হাড় শক্ত হয় এবং উচ্চতা বাড়ে।
উপদেশ:
- প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
- বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করুন, যেমন দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, ইত্যাদি।
- আপনার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ব্যায়াম করুন।
- ব্যায়াম করার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
উদাহরণ:
আপনি যদি দৌড়ানো পছন্দ করেন, তাহলে প্রতিদিন 30 মিনিট দৌড়াতে পারেন। আপনি যদি সাঁতার কাটা পছন্দ করেন, তাহলে প্রতিদিন 30 মিনিট সাঁতার কাটতে পারেন। আপনি যদি সাইকেল চালানো পছন্দ করেন, তাহলে প্রতিদিন 30 মিনিট সাইকেল চালাতে পারেন।
সতর্কতা:
ব্যায়াম করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
যদি আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যায়াম করুন।
উপসংহার:
নিয়মিত ব্যায়াম আপনার উচ্চতা বাড়ানোর একটি কার্যকর উপায়।
শ্বাস – প্রশ্বাসের অভ্যাস করুন
স্বাভাবিক নয়, গভীরভাবে শ্বাস নিন। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে গভীর শ্বাস -প্রশ্বাস এবং শ্বাস -প্রশ্বাস অনেক শারীরিক জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। যেহেতু গভীর শ্বাস নেওয়া সবসময় সম্ভব নয়, তাই দিনের যেকোনো সময় গভীর শ্বাস -প্রশ্বাসের ব্যায়াম বেছে নিন। আপনি চাইলে মেডিটেশন করতে পারেন কারণ মেডিটেশনও একই ফল দেয়।
৬ ফুট লম্বা হওয়ার জন্য যথেষ্ট ঘুম
আমরা যখন ঘুমাই বা বিশ্রাম করি, তখন শরীরের টিস্যু পুনর্জন্ম হয় এবং আকার বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে মানব বৃদ্ধি হরমোন (এইচজিএইচ) আমাদের দেহে স্বাভাবিকভাবেই উৎপন্ন হয় যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি। তাই উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। বয়ceসন্ধিকাল থেকে প্রতিদিন 8 থেকে 10 ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করুন
দ্রুত খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করুন যা শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। খুব বেশি চা বা কফি পান করবেন না। এগুলো শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যা পরবর্তীতে আপনার উচ্চতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। যদি আপনার ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনাকে তা ছেড়ে দিতে হবে। বোতলজাত রস এবং কোমল পানীয় আপনার শরীরের জন্য সমানভাবে ক্ষতিকর। তাই এগুলোও ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়। পরিবর্তে, আপনি গ্রিন টি বা তাজা ফলের রস খেতে পারেন। এটি আপনার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে। ফলে আপনার উচ্চতা বাড়তে পারে।