৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায় অনুসন্ধান করছো তাহলে তোমাকে উদ্দেশ্যে এই কিছু কথা আগে থেকে বলে রাখি, সাত দিনে লম্বা হওয়ার সম্ভব নয়, হরলিক্স খেলে লম্বা হওয়া যায় না। লম্বা হওয়ার জন্য লম্বা হওয়ার ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীর খারাপ হতে পারে।
অনেকে আবার হারবাল জাতীয় ঔষধ খেয়ে থাকে, যারা হারবাল জাতীয় ওষুধ খায় পরবর্তীতে দেখা যায় তাদের লিভার, এবং কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায় লম্বা হওয়ার জন্য কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারো, যা মেয়ে ও ছেলেদের জন্য নিচে দেওয়া হয়েছে।
৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায়
- কি কি রোগ আছে শরীরে পরীক্ষা করে বের করা।
- শরীরে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম এর চাহিদা পূরণ করা
- প্রতিদিন কিছু সময় রোদে হাটতে হবে
- ব্যায়াম করা
- অতিরিক্ত টেনশন না করা
- পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম
- নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে
- পরিমাণ মত বিশুদ্ধ পানি পান
- ৭ দিনে লম্বা হওয়া সম্ভব নয়
লম্বা হওয়ার উপায়
বিষয় | বিবরণ |
---|---|
প্রতিদিন কিছু সময় রোদে হাটতে হবে | রোদে থাকার ফলে শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়, যা হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। |
ব্যায়াম করা | কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম লম্বা হতে সাহায্য করে। যেমন: দড়ি লাফানো, সাঁতার কাটা, লম্বা লাফানো, টান দেওয়া। |
অতিরিক্ত টেনশন না করা | মানসিক চাপ শরীরের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। |
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম | ঘুমের সময় শরীরের বৃদ্ধি হরমোন নিঃসৃত হয়। তাই ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। |
নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে | পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, বিশেষ করে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। |
পরিমাণ মত বিশুদ্ধ পানি পান | পানি শরীরের সব কাজের জন্য প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। |
৭ দিনে লম্বা হওয়া সম্ভব নয় | ৭ দিনে লম্বা হওয়া সম্ভব নয়। তবে, উপরের উপায়গুলো নিয়মিত মেনে চললে ৬ থেকে ১ বছরের মধ্যে কিছুটা লম্বা হওয়া সম্ভব। |
কি কি রোগ আছে শরীরে পরীক্ষা করে বের করাঃ
শরীরে কোন রোগ আছে কিনা তা নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষাগুলি রোগের ধরন, তীব্রতা এবং অবস্থান অনুসারে পরিবর্তিত হয়।
সাধারণ পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:
- রক্ত পরীক্ষা: রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন উপাদান, যেমন: হিমoglobin, শ্বেত রক্তকণিকা, লোহিত রক্তকণিকা, প্লেটলেট, ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে রক্ত সংক্রমণ, ক্যান্সার, অঙ্গের ক্ষতি, ইত্যাদি রোগ সনাক্ত করা যায়।
- প্রস্রাব পরীক্ষা: প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন উপাদান, যেমন: প্রোটিন, চিনি, রক্ত, ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি রোগ, মূত্রনালীর সংক্রমণ, ইত্যাদি রোগ সনাক্ত করা যায়।
- মল পরীক্ষা: মল পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন উপাদান, যেমন: রক্ত, পরজীবী, ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে হজমজনিত রোগ, ক্যান্সার, ইত্যাদি রোগ সনাক্ত করা যায়।
- চিত্রগ্রহণ পরীক্ষা: চিত্রগ্রহণ পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের ছবি তোলা হয়। এই পরীক্ষাগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্স-রে, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইত্যাদি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে হাড়ের ক্ষতি, ক্যান্সার, অঙ্গের ক্ষতি, ইত্যাদি রোগ সনাক্ত করা যায়।
- অন্যান্য পরীক্ষা: এই পরীক্ষাগুলোর মধ্যে রয়েছে ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম, ব্রঙ্কোস্কোপি, ইত্যাদি। এই পরীক্ষাগুলো নির্দিষ্ট কিছু রোগের জন্য করা হয়।
বিশেষ পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:
- এনজিওগ্রাম: রক্তনালীগুলির চিত্র তৈরি করে।
- ইকোকার্ডিওগ্রাম: হৃদপিণ্ডের চিত্র তৈরি করে।
- ব্রঙ্কোস্কোপি: শ্বাসনালীর অভ্যন্তরের চিত্র তৈরি করে।
- কোলোনোস্কোপি: কোলন এবং মলদ্বারের অভ্যন্তরের চিত্র তৈরি করে।
- গাইডোডোডেনোস্কোপি: পাকস্থলী এবং অন্ত্রের অভ্যন্তরের চিত্র তৈরি করে।
- পেটের আল্ট্রাসাউন্ড: পেটের অভ্যন্তরীণ অংশগুলির চিত্র তৈরি করে।
- মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান: মস্তিষ্কের চিত্র তৈরি করে।
- মস্তিষ্কের এমআরআই: মস্তিষ্কের চিত্র তৈরি করে।
শরীরে সকল রোগ ধরা পড়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট পরীক্ষা নেই। তবে, উপরে উল্লেখিত পরীক্ষাগুলির মাধ্যমে শরীরের বেশিরভাগ রোগ সনাক্ত করা সম্ভব।
কিছু নির্দিষ্ট রোগ নির্ণয়ের জন্য বিশেষ পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন, ক্যান্সারের জন্য বায়োপসি, টিউমার মার্কার পরীক্ষা, বা জেনেটিক পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে।
একটি নির্দিষ্ট রোগের জন্য কোন পরীক্ষা প্রয়োজন তা রোগের ধরন, তীব্রতা এবং অবস্থান অনুসারে নির্ধারিত হয়। তাই, কোন রোগ আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কিছু রোগ আছে যা পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে না। যেমন:
- মানসিক রোগ: মানসিক রোগ পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে না। এই রোগগুলো নির্ণয়ের জন্য রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়।
- ব্যক্তিগত সমস্যা: ব্যক্তিগত সমস্যা, যেমন: বিবাহ বিচ্ছেদ, চাকরি হারানো, ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে না। এই সমস্যাগুলো নির্ণয়ের জন্য রোগীর মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়।
আরো জানতে পারোঃ
গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা সংক্ষেপে
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়
শরীরে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম এর চাহিদা পূরণ করাঃ
ভিটামিন
- পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করা যায়। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, মাংস, ইত্যাদি।
- ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা: ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে না পারলে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে, ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ক্যালসিয়াম
- ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করা যায়। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে দুধ, দই, চিজ, ব্রোকলি, বাদাম, ইত্যাদি।
- সূর্যের আলোতে থাকা: সূর্যের আলোতে থাকার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়, যা ক্যালসিয়ামের শোষণে সাহায্য করে।
- ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা: ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে না পারলে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে, ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ কিছু খাবারের উদাহরণ:
- ভিটামিন:
- ফল: আম, কলা, কমলা, আঙুর, আপেল, তরমুজ, ইত্যাদি।
- শাকসবজি: গাজর, পালং শাক, ব্রোকলি, ফুলকপি, ইত্যাদি।
- দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই, চিজ, ইত্যাদি।
- মাছ: ইলিশ, শিং, কাঁচামরিচ, ইত্যাদি।
- মাংস: মুরগির মাংস, গরুর মাংস, ইত্যাদি।
- ক্যালসিয়াম:
- দুধ, দই, চিজ
- ব্রোকলি
- বাদাম
- সামুদ্রিক খাবার
- সয়াবিন
- বাদাম
- তিলের বীজ
ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম এর অভাবজনিত সমস্যা:
ভিটামিনের অভাবজনিত সমস্যা:
- ভিটামিন এ এর অভাবজনিত সমস্যা: রাতকানা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, ইত্যাদি
- ভিটামিন বি এর অভাবজনিত সমস্যা: রক্তশূন্যতা, স্নায়বিক সমস্যা, ইত্যাদি
- ভিটামিন সি এর অভাবজনিত সমস্যা: স্কার্ভি, রক্তপাত, ইত্যাদি
- ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত সমস্যা: হাড়ের ক্ষয়, অস্টিওপোরোসিস, ইত্যাদি
- ভিটামিন ই এর অভাবজনিত সমস্যা: প্রজনন সমস্যা, ত্বকের সমস্যা, ইত্যাদি
- ভিটামিন কে এর অভাবজনিত সমস্যা: রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, ইত্যাদি
ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত সমস্যা:
- হাড়ের ক্ষয়, অস্টিওপোরোসিস
- দাঁতের ক্ষয়
- পেশীর খিঁচুনি
- হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি
তাই ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম এর চাহিদা পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
শরীরে ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি উপাদান শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন বিভিন্ন শারীরিক কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়, যেমন: হাড়ের বৃদ্ধি, রক্ত জমাট বাঁধা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ইত্যাদি। ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের গঠন ও শক্তির জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও, ক্যালসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং পেশী এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন কিছু সময় রোদে হাটতে হবেঃ
লম্বা হওয়ার জন্য শরীরের হাড়ের বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাড়ের বৃদ্ধিতে ভিটামিন ডি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। তাই লম্বা হওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালের রোদে হাটা অত্যন্ত উপকারী।
সকালের রোদে হাটার উপকারিতা
- সকালের রোদে হাটলে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। ভিটামিন ডি হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- সকালের রোদে হাটলে শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি পায়। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সকালের রোদে হাটলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- সকালের রোদে হাটলে মন ভালো থাকে।
লম্বা হওয়ার জন্য রোদে হাটার নিয়ম
- প্রতিদিন সকালে ২০-৩০ মিনিট রোদে হাটুন।
- হালকা গতিবেগে হাটুন।
- সকালের ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত রোদে হাটলে ভালো হয়। এই সময় রোদের তেজ কম থাকে।
- রোদে হাটার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ব্যায়াম করা
লম্বা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করা একটি কার্যকর উপায়। তবে, ব্যায়াম করে রাতারাতি লম্বা হওয়া যায় না। নিয়মিত এবং ধৈর্য ধরে ব্যায়াম করলে ধীরে ধীরে উচ্চতা বাড়ে।
লম্বা হওয়ার জন্য যেসব ব্যায়াম করা যেতে পারে সেগুলো হল:
- সাঁতার: সাঁতার কাটা একটি চমৎকার ব্যায়াম যা শরীরের সমস্ত পেশীকে প্রসারিত করে। এটি হাড়ের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
- স্কিপিং: স্কিপিং একটি কার্ডিও ব্যায়াম যা হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- ব্যালে: ব্যালে একটি নৃত্য যা শরীরের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। এটি হাড়ের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
- যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম শরীরের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। এটি হাড়ের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
লম্বা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি:
- ব্যায়ামটি নিয়মিত করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত 3-4 দিন ব্যায়াম করা উচিত।
- ব্যায়ামটি সঠিকভাবে করতে হবে। সঠিকভাবে ব্যায়াম না করলে আঘাতের ঝুঁকি থাকে।
- ব্যায়ামের পর পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
একজন জিম ট্রেইনারের কাছ থেকে পরামর্শ নিলে তারা আপনাকে সঠিক ব্যায়াম পদ্ধতি শিখিয়ে দেবেন। এছাড়াও, ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়ামের ভিডিও পাওয়া যায়। সেই ভিডিওগুলো দেখেও আপনি ব্যায়াম করতে পারেন। লম্বা হওয়ার জন্য শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না। এর পাশাপাশি সুষম খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিতে হবে।
অতিরিক্ত টেনশন না করা
লম্বা হওয়ার জন্য শরীরের হাড়ের বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ বা টেনশন হাড়ের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। মানসিক চাপের ফলে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন হাড়ের গঠনকে বাধা দেয়। এছাড়াও, মানসিক চাপের ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে যায়।
চিন্তা মুক্ত থাকার উপায়
লম্বা হওয়ার জন্য মানসিক চাপ মুক্ত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তা মুক্ত থাকার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
- পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে বিশ্রাম দেয় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম শরীরকে সুস্থ রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
- পছন্দের কাজ করা: পছন্দের কাজ করলে মন ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে যায়।
- বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো: বন্ধুদের সাথে সময় কাটালে মন ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে যায়।
- ধ্যান করা: ধ্যান শরীর এবং মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
লম্বা হওয়ার জন্য সুষম খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়ার পাশাপাশি মানসিক চাপ মুক্ত থাকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম
লম্বা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের গুরুত্ব অনেক, লম্বা হওয়ার জন্য শরীরের হাড়ের বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় শরীরে বৃদ্ধি হরমোন (Growth Hormone) নিঃসৃত হয়। এই হরমোন হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই লম্বা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারিতা
- হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
- মানসিক চাপ কমায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
পর্যাপ্ত ঘুমের পরিমাণ
বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত ঘুমের পরিমাণ ভিন্ন হয়। সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে, ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৯ থেকে ১১ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য করণীয়
- নিয়মিত ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন এবং সেই সময় অনুযায়ী ঘুমান।
- ঘুমানোর আগে চা, কফি, অ্যালকোহল ইত্যাদি পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন।
- ঘুমানোর আগে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ডিভাইস ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
- ঘুমের পরিবেশ শান্ত এবং অন্ধকার করুন।
লম্বা হওয়ার জন্য সুষম খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই লম্বা হতে চাইলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
একটানা না ঘুমানো
কিছু মানুষ রাতে একটানা ঘুমাতে পারে না। তারা দুপুরে ঘুমিয়ে নেয়। এটাও একটি ভালো উপায়। তবে, রাতে কমপক্ষে ৫-৬ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। দুপুরে ঘুমানোর সময় দীর্ঘ ঘুমানো উচিত নয়। ২-৩ ঘন্টা ঘুমানোই যথেষ্ট।
নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে
লম্বা হওয়ার জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অনেক। লম্বা হওয়ার জন্য শরীরের হাড়ের বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাড়ের বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি হল ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। তাই লম্বা হতে চাইলে সুষম খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পুষ্টিকর খাবারের উপকারিতা
- হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- শক্তি প্রদান করে।
পুষ্টিকর খাবারের উৎস
- ক্যালসিয়াম: দুধ, দই, চিজ, মাছ, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি।
- প্রোটিন: মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, শিম ইত্যাদি।
- ভিটামিন ডি: সূর্যের আলো, মাছ, ডিম ইত্যাদি।
- ম্যাগনেসিয়াম: বাদাম, বীজ, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি।
- ফসফরাস: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই ইত্যাদি।
লম্বা হওয়ার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার নিয়ম
- প্রতিদিন সকালে দুধ, দই, ওটমিল ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
- দুপুরের খাবারে মাছ, মাংস, ডাল, সবজি ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
- রাতের খাবারে ভাত, মাছ, মাংস, সবজি ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
- দিনে অন্তত দুইবার ফলমূল খাওয়া উচিত।
- সবুজ শাকসবজি প্রতিদিনের খাবার মেনুতে রাখা উচিত।
লম্বা হওয়ার জন্য সুষম খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই লম্বা হতে চাইলে প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খান।
পরিমাণ মত বিশুদ্ধ পানি পান
পরিমাণ মত বিশুদ্ধ পানি পান করার নিয়ম
বয়স | পরিমাণ লিটার | পরিমাণ গ্লাস |
---|---|---|
০১-০৩ | ১.৩ | ৬ |
০৪-০৮ | ১.৭ | ৭ |
০৯-১৩ (ছেলে) | ২.৪ | ১২ |
০৯-১৩ (মেয়ে) | ২.১ | ১১ |
১৪-১৮ (ছেলে) | ৩.৩ | ১৬ |
১৪-১৮ (মেয়ে) | ২.৩ | ১১ |
১৯-৭০ (ছেলে) | ৩.৭ | ১৮ |
১৯-৭০ (মেয়ে) | ২.৭ | ১৩ |