বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। নদীগুলোর পানির বিপদ সীমার উপরে পৌঁছেছে, ফলে প্রায় ৩ কোটি মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। শত শত বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং অনেক বাসিন্দারা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যার পরিস্থিতি
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যার ফলে বহু মানুষ নিরাপদ আশ্রয়সহ, বাড়ির ছাদে এ আশ্রয় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত, ভারতীয় রাজ্য ত্রিপুরায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বাংলাদেশে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ত্রিপুরায় ৬৪,০০০ এর বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বসবাস করছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যার প্রভাব
গত কয়েক মাসে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা এবং ভূমী ধসের কারণে শত শত মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশে বন্যার বিস্তারিত
বাংলাদেশের ফেনী জেলার পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। সেনা ও নৌবাহিনী সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং স্বেচ্ছাসেবকরা সাহায্যের জন্য কাজ করছেন। সরকারি ভবন ও স্কুলগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে ২৫,০০০ এরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ফেনীতে বন্যার অবস্থা
ফেনী জেলার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। সেনা এবং নৌবাহিনী সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এবং স্বেচ্ছাসেবকরা সহায়তা করছে। সরকারি ভবন ও স্কুলগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে ২৫,০০০ এরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ফেনী জেলার বাসিন্দা কাজী পিয়াশ বলেছেন, বন্যার পানি তার গলা পর্যন্ত উঠেছে এবং তারা নিজের বাড়তে আশ্রয় নিয়েছে। তারা টিনের সাহায্যে একটি অস্থায়ী আস্রয় কেন্দ্র তৈরি করেছে।
কুমিল্লায় পরিস্থিতি
কুমিল্লার গোমতী নদীর পাশের বাসকারী বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন যে, বন্যার পানি তাদের এলাকা ডুবিয়ে দিতে পারে। তারা বলছেন যে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে এই বন্যা ঘটেছে।
ভারতীয় প্রতিক্রিয়া
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোমতী নদীর বাঁধ খোলার কারণে এই বন্যা হয়নি। তারা বলেছে, এই বন্যা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ঘটেছে।
আগামী দিনের পূর্বাভাস
ত্রিপুরা এবং পূর্ব বাংলাদেশে আগামী তিনদিনে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যার পরিমাণ ৫০ মিমি থেকে ১৫০ মিমি পর্যন্ত হতে পারে।
আগামী দিনের পূর্বাভাস
ত্রিপুরা এবং পূর্ব বাংলাদেশে আগামী তিনদিনে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যা ৫০ মিমি থেকে ১৫০ মিমি পর্যন্ত হতে পারে।
ভারতীয় একটি ফুটেজ
FAQs:
বন্যার কারণে বাংলাদেশে কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি মানুষ বন্যার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ত্রিপুরায় কতজন মারা গেছেন?
ত্রিপুরায় ১১ জন মারা গেছেন।
ফেনী জেলার পরিস্থিতি কেমন?
ফেনী জেলা খুবই গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। সেখানে ২৫,০০০ এরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
কুমিল্লার বাসিন্দাদের অবস্থা কী?
কুমিল্লার বাসিন্দারা ভয় পাচ্ছেন যে, বন্যার পানি তাদের এলাকা ডুবিয়ে দিতে পারে।
ভারত এই বন্যার জন্য দায়ী কি?
ভারতীয় মন্ত্রণালয় দাবি করছে যে, গোমতী নদীর বাঁধ খোলার কারণে বন্যা হয়নি। বন্যার কারণ হলো ভারী বৃষ্টিপাত।
আগামী দিনে কী ধরনের আবহাওয়া থাকবে?
আগামী তিনদিনে ত্রিপুরা ও পূর্ব বাংলাদেশে ৫০ থেকে ১৫০ মিমি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
উদ্ধারকাজে কারা অংশ নিচ্ছে?
সেনা, নৌবাহিনী সদস্যরা এবং স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধারকাজে অংশ নিচ্ছেন।
কিভাবে বন্যার পানির স্তর বাড়ছে?
বন্যার পানির স্তর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দ্রুত বাড়ছে।
সরকারের কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
সরকারি ভবন ও স্কুলগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং উদ্ধারকাজ চলছে।
বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো সমস্যা হয়েছে কি?
হ্যাঁ, বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যার কারণে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটেছে।