বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত গ্রেডিং সিস্টেম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত সাফল্য ও উন্নতির মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে এবং তাদের পারফরম্যান্সের সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করে।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, কলেজ ও স্কুলগুলোতে বিভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। এই গ্রেডিং সিস্টেম সাধারণত সংখ্যা বা পয়েন্ট ভিত্তিক হয়, যা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য শিক্ষাগত ডিগ্রির জন্য পৃথকভাবে কার্যকরী হয়।

 

একাডেমিক গ্রেডিং সিস্টেমের প্রকারভেদ

১. স্কুল ও কলেজের গ্রেডিং সিস্টেম:

স্কুল এবং কলেজগুলো সাধারণত একটি নম্বর ভিত্তিক গ্রেডিং সিস্টেম অনুসরণ করে। এই সিস্টেমে সাধারণত একটি টেবিল ব্যবহার করা হয় যা বিভিন্ন নম্বরের পরিসরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের গ্রেড প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ:

শ্রেণী পরিসীমাচিঠির গ্রেডগ্রেড পয়েন্ট
৮০–১০০A+৫.০০
৭০–৭৯A৪.০০
৬০–৬৯A-৩.৫০
৫০–৫৯B৩.০০
৪০–৪৯C২.০০
৩৩–৩৯D১.০০
০–৩২F০.০০

২. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং সিস্টেম:

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের নিজস্ব গ্রেডিং সিস্টেম প্রয়োগ করে, যা সাধারণত গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ (CGPA) ভিত্তিক হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ:

শ্রেণী পরিসীমাচিঠির গ্রেডগ্রেড পয়েন্টমন্তব্য
৮০–১০০A+৪.০০প্রথম শ্রেণি
৭৫–৭৯A৩.৭৫প্রথম শ্রেণি
৭০–৭৪A-৩.৫০প্রথম শ্রেণি
৬৫–৬৯B+৩.২৫প্রথম শ্রেণি
৬০–৬৪B৩.০০প্রথম শ্রেণি
৫৫–৫৯B-২.৭৫দ্বিতীয় শ্রেণি
৫০–৫৪C+২.৫০দ্বিতীয় শ্রেণি
৪৫–৪৯C২.২৫দ্বিতীয় শ্রেণি
৪০–৪৪D২.০০তৃতীয় শ্রেণি
০–৩৯F০.০০ফেল

৩. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং সিস্টেম:

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেমন পূর্ব-পূর্ব বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন গ্রেডিং সিস্টেম ব্যবহার করে। এখানে গ্রেডিং স্কেল সাধারণত বিভিন্ন পরিসরের ভিত্তিতে গ্রেড প্রদান করে:

শ্রেণী সীমালেটার গ্রেডগ্রেড পয়েন্টমন্তব্য
৯৩% ও উপরে৪.০০অসাধারণ
৮৯% – <৯৩%এ-৩.৭০চমৎকার
৮৬% – <৮৯%বি+৩.৩০খুব ভালো
৮২% – <৮৬%বি৩.০০ভালো
৭৯% – <৮২%বি-২.৭০সন্তোষজনক
৭৫% – <৭৯%সি+২.৩০পাশ
৭২% – <৭৫%সি২.০০পাশ
৬৯% – <৭২%সি-১.৭০পাশ
৬৫% – <৬৯%ডি+১.৩০অপর্যাপ্ত পাশ
৬০% – <৬৫%ডি১.০০অপর্যাপ্ত পাশ
<৬০%এফ০.০০ফেল
আই০.০০ইনকমপ্লিট
ডব্লিউ০.০০প্রত্যাহার
০.০০বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যাহার
ব্ল্যাঙ্ক০.০০প্রতিষ্ঠানিক
এক্স০.০০পুনরাবৃত্তি (ক্রেডিট অনুমোদিত নয়)
আর০.০০পুনরাবৃত্তি (ক্রেডিট অনুমোদিত)
ডব্লিউভি০.০০মাফকৃত
টি আর০.০০স্থানান্তরিত
এনসি০.০০নন-ক্রেডিট

 

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর গ্রেডিং সিস্টেম

স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গ্রেডিং সিস্টেমে সাধারণত বিভিন্ন শ্রেণীর পয়েন্ট প্রদান করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করে:

স্নাতক:

শ্রেণী পরিসীমাচিঠির গ্রেডগ্রেড পয়েন্ট
৮০% ও তার বেশিA+৪.০০
৭৫% – <৮০%A৩.৭৫
৭০% – <৭৫%A-৩.৫০
৬৫% – <৭০%B+৩.২৫
৬০% – <৬৫%B৩.০০
৫৫% – <৬০%B-২.৭৫
৫০% – <৫৫%C+২.৫০
৪৫% – <৫০%C২.২৫
৪০% – <৪৫%D২.০০
<৪০%F০.০০

স্নাতকোত্তর:

শ্রেণী পরিসীমাচিঠির গ্রেডগ্রেড পয়েন্ট
৮০% ও তার বেশিA+৪.০০
৭৫% – <৮০%A৩.৭৫
৭০% – <৭৫%A-৩.৫০
৬৫% – <৭০%B+৩.২৫
৬০% – <৬৫%B৩.০০
৫৫% – <৬০%B-২.৭৫
৫০% – <৫৫%C+২.৫০
৪৫% – <৫০%C২.২৫
৪০% – <৪৫%D২.০০
<৪০%F০.০০
 

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং (BOU GPA)পদ্ধতি

নমারিক গ্রেড (%)লেটার গ্রেডগ্রেড পয়েন্ট
৮০% এবং তার উপরেএ+৪.০০
৭৫% থেকে ৮০% কম৩.৭৫
৭০% থেকে ৭৫% কমএ-৩.৫০
৬৫% থেকে ৭০% কমবি+৩.২৫
৬০% থেকে ৬৫% কমবি৩.০০
৫৫% থেকে ৬০% কমবি-২.৭৫
৫০% থেকে ৫৫% কমসি+২.৫০
৪৫% থেকে ৫০% কমসি২.২৫
৪০% থেকে ৪৫% কমডি২.০০
৪০% এর কমএফ০.০০


ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং: গ্রেড পয়েন্ট

মার্কসপয়েন্টসগ্রেড
৮৫ – ১০০%৪.০০A+
৭০ – ৮৪%৩.৫০A-
৫৫ – ৬৯%৩.০০B
৪০ – ৫৪%২.৫০C
৩৫ – ৩৯%২.০০D
২০ – ৩৪%১.০০E
০ – ১৯%০.০০F