বাংলাদেশের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের আটকের বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এ খবরের সত্যতা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, কারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে গুলশান এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এই খবর অস্বীকার করা হয়েছে। ডিএমপির মিডিয়া বিভাগ এবং গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) উভয়ই জানিয়েছেন, তাদের কাছে আরাফাতের আটকের কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই।

একজন ডিবি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন যে, আরাফাত আটক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে, ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান এবং ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি। গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার এবং মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনারও একই অবস্থানে আছেন।

পূর্বে, বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তার স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার নির্দেশ দেয়। এছাড়া, গত বছরের জুলাই মাসে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আলোচনায় আসেন আরাফাত, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম হামলার শিকার হন।

শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর, আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর আরাফাত আত্মগোপনে চলে যান। গত ১২ আগস্ট, আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেওয়া হয়। যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছে যে, তিনি ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে রয়েছেন, তবে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এটিকে গুজব বলে উল্লেখ করেছে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হন এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। তবে, তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের মামলার আসামি এবং বিভিন্ন মামলার আসামি হিসেবে চিহ্নিত হন।

আফসোসের বিষয় হলো, আটকের বিষয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, তা এখনও সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হয়নি। তাই, বর্তমান পরিস্থিতিতে আরাফাতের আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানা যাচ্ছে না।