মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪ তারিখে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা পূর্বঘোষিত গণপদত্যাগ এবং গণছুটি কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। এই কর্মসূচি শুরু হবার কথা ছিল আজ থেকে, যা বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারতো।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে নানা কারণ রয়েছে। প্রথমত, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে, কর্মচারীরা তাঁদের পরিকল্পিত কর্মসূচি বাতিল করেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তা করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছিল। তাঁদের মূল দাবি ছিল পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) দ্বৈত শাসন বাতিল করা এবং ৪৭ বছরের পুরোনো শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তি লাভ করা। তাঁরা আরইবি ও পবিস একীভূতকরণ, অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবি জানান।

তবে, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের আশা-ভরসার কথা মাথায় রেখে এবং দেশের সুশীল সমাজের আহ্বান পরিপ্রেক্ষিতে, এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাংলাদেশের নতুন সরকারের বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি এবং ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রিফর্ম কার্যক্রম শুরু করেছেন। তাঁরা সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবি যৌক্তিক সময়ে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন। এখন তারা আশা করছেন, দেশের ১৪ কোটি মানুষের বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি আধুনিক এবং টেকসই বিতরণব্যবস্থা গড়ে উঠবে।