সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমানের ব্যাংক হিসাব সম্প্রতি জব্দ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের সাথে তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান ও পুত্রবধূ শাজরেহ রহমানের ব্যাংক হিসাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আজ, ২৮ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
বিএফআইইউ’র পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সালমান ফজলুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে পরিচালিত সব ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। এছাড়া, তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহারও ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। এই নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ থাকবে এবং কোনো নতুন লেনদেন করা যাবে না। এই সময়সীমা প্রয়োজনে বাড়ানো হতে পারে।
চিঠিতে সালমান ফজলুর রহমান এবং তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বলা হয়েছে যে, যদি কোনো হিসাব স্থগিত করা হয়, তবে সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি (নো ইয়োর কাস্টমার) ডকুমেন্ট, লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউ’র কাছে পাঠাতে হবে।
সালমান ফজলুর রহমান অর্থনৈতিক খাতের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে তার প্রভাব ছিল। তিনি শেষ সময়ে পররাষ্ট্রনীতিতেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্থগিতাদেশের পাশাপাশি তার ছেলের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতারের খবর জানায়। তাকে এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে একসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়। রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। বর্তমানে তারা নিউ মার্কেট থানার একটি মামলায় আটক আছেন।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে, এই স্থগিতাদেশের ফলে তার ব্যক্তিগত ও মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। লেনদেন স্থগিত করার সময় প্রয়োজনীয় বিধিমালা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় কার্যকর হবে।