আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রায় ১৫ বছরের ক্যারিয়ারের পর অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আর্জেন্টিনার তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। সম্প্রতি, ৩৬ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার তার ফুটবল জীবনের নানা বিষয় নিয়ে একটি বিস্তারিত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি আলোচনা করেছেন নিজের সেরা ম্যাচ, সেরা গোল, সবচেয়ে আনন্দদায়ক মুহূর্ত, তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং ফুটবল কোচদের সম্পর্কে তার মতামত।
সেরা ম্যাচ ও গোল
ডি মারিয়া তার সেরা ম্যাচ হিসেবে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সেই ফাইনাল ম্যাচ আমার জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ম্যাচ। আমি বারবার ম্যাচটি দেখি এবং ৭০-৭৫ মিনিটের মধ্যে কী করেছি তা এখনও বিশ্বাস করতে পারি না। এই মুহূর্তগুলো আমি ২-৩ বার দেখে পুনরায় আনন্দ পেয়েছি।” তার পছন্দের গোল হিসেবে তিনি ২০২২ সালের ফিনালিসিমায় ইতালির বিপক্ষে করা গোলটি উল্লেখ করেছেন। ডি মারিয়া বলছেন, “দোন্নারুমার বিপক্ষে সেই গোলটি দুর্দান্ত ছিল, খুব দ্রুতগতির এবং চমৎকারভাবে করা হয়েছিল।”
সেরা উল্লাসের মুহূর্ত
২০২১ সালের কোপা আমেরিকা জয়ের সময় তার উল্লাস ছিল সবচেয়ে বেশি আবেগপূর্ণ। ডি মারিয়া বলেন, “ব্রাজিলের বিরুদ্ধে আমাদের লক্ষ্য পূরণের দিন আমি সবচেয়ে বেশি আবেগ অনুভব করেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে শিরোপাহীন ছিলাম, সেই দেয়াল ভেঙে ফেলতে পারার আনন্দ ছিল অতুলনীয়।”
পছন্দ-অপছন্দের কোচ
ডি মারিয়ার পছন্দের কোচের তালিকায় প্রথমে আছেন লিওনেল স্কালোনি, যিনি তার কোচিংয়ে খুব ভালো সংযুক্তি তৈরি করেছেন। এছাড়া, তিনি আলেজান্দ্রো সাবেলার প্রশংসা করেছেন, যিনি ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার তৃতীয় পছন্দের কোচ হিসেবে হোসে মরিনিও এবং কার্লো আনচেলত্তি উল্লেখ করেছেন। তবে, ডি মারিয়ার সবচেয়ে অপছন্দের কোচ হিসেবে লুইস ফন গালের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “সবচেয়ে খারাপ কোচ হিসেবে আমি ফন গালকে উল্লেখ করতে পারি। এটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”
লিওনেল মেসি এবং ডিয়েগো ম্যারাডোনা
ডি মারিয়া তার ফুটবল জীবনকে মেসি এবং ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, “লিও মেসি এবং ডিয়েগো ম্যারাডোনা অন্য গ্রহের মতো। মেসির সঙ্গে খেলা এবং ডিয়েগো ম্যারাডোনার কোচিং পেতে পারা, এটি আমার জন্য অনেক কিছু।”
ক্যারিয়ারের সাফল্য
ডি মারিয়া তার ক্যারিয়ারে দুটি কোপা আমেরিকা এবং একটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা এবং ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করেছেন। তার সাফল্যের কারণে আর্জেন্টিনার সেরা ফুটবলারদের কাতারে তাকে গণ্য করা হয়। সাবেক কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি তাকে মেসি-ম্যারাডোনার সমান মান্যতা দিয়েছেন।