রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি অসাধারণ প্রতিরোধ গড়েছেন। ম্যাচের ১১ তম ওভারে ২৬ রান সংগ্রহ করে ৬ উইকেট হারানোর পর, এই দুজন দলকে আবারও দাঁড়িয়ে দাঁড় করান। ১৬৫ রানের একটি দুর্দান্ত জুটি গড়ে তারা ক্রিকেট ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেন। তাদের এই জুটি ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড গড়ে।
লিটন-মিরাজের রেকর্ড জুটি
বাংলাদেশের ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারানোর পর লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ১৬৫ রানের জুটির মাধ্যমে একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এই জুটি টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রান থেকে কমে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় রানের জুটির রেকর্ড গড়েছে।
অতীতের রেকর্ড
এর আগে, ২০০৬ সালে করাচিতে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে টেস্টে সপ্তম উইকেটে ১১৫ রান ছিল সর্বোচ্চ রানের জুটি। আবদুল রাজ্জাক ও কামরান আকমল এই রেকর্ড গড়েছিলেন। এছাড়া ২০২১ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এনক্রুমা বোনার ও জশুয়া দা সিলভা ১০০ রান যোগ করেছিলেন।
মিরাজের ইনিংস ও কৃতিত্ব
মেহেদী হাসান মিরাজ এই ইনিংসে ৭৮ রান করেন, যা তার ক্যারিয়ারের একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। তিনি ১২৪ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান সংগ্রহ করেন। এটি তার অষ্টম ফিফটি, এবং তার ক্যারিয়ারের ধারাবাহিক সফলতার প্রমাণ।
বাংলাদেশের সামগ্রিক পারফরম্যান্স
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১ ওভারে ২৬ রান তুলতে তারা ৬ উইকেট হারায়। পাকিস্তানের পেসারদের শিকার হয়ে একের পর এক উইকেট হারানোর পর, লিটন দাস ও মিরাজের প্রতিরোধের পর বাংলাদেশ দলের স্কোরবোর্ডে বেশ উন্নতি ঘটে। তাদের এই রেকর্ড গড়া জুটির ফলে বাংলাদেশের ফলোঅন এড়ানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
সার্বিক প্রতিক্রিয়া
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সংগ্রাম এবং সফলতা বিশ্ব ক্রিকেটে একটি নতুন অধ্যায় যুক্ত করেছে। লিটন ও মিরাজের এই জুটি কেবল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নয়, বরং বিশ্বের ক্রিকেট মহলকেও অবাক করেছে।
টেস্টে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ
(৫০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর)
রান | জুটি | দল | বিপক্ষ | ভেন্যু | সাল |
---|---|---|---|---|---|
১৬৫ | লিটন–মিরাজ | বাংলাদেশ | পাকিস্তান | পিন্ডি | ২০২৪ |
১১৫ | রাজ্জাক–কামরান | পাকিস্তান | ভারত | করাচি | ২০০৬ |
১০০ | বোনার–দা সিলভা | উইন্ডিজ | শ্রীলঙ্কা | গল | ২০২১ |