বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের হতাশার মধ্যে থেকে উত্তরণের এক অনন্য উদাহরণ দেখা গেল। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর, লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স বাংলাদেশের স্কোর ২৬২ রানে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের এই স্কোর ১২ রানে পিছিয়ে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ: কঠিন চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের শুরুটা ছিল একেবারে খারাপ। আগের দিন দুই ওভার দেখেশুনে পার করলেও, নতুন বলে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল বেকায়দায়। জাকির হোসেনের শুরুর পর সাদমান ইসলামও স্ট্যাম্প হারিয়ে ফিরে যান। অধিনায়ক শান্তও ব্যর্থ হন। খুররাম শেহজাদের দুর্দান্ত স্পেলে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
চার নম্বরে নামা মুমিনুল হকও কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। মির হামজার ফুল লেংথের বলে ফ্লিক শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ আলির হাতে। মুমিনুল মাত্র ১ রানে আউট হন। এভাবে ১৪-২০ রানের মধ্যে বাংলাদেশ চারটি উইকেট হারায়।
বিপর্যয়ে বাংলাদেশ: মুশফিক, সাকিব ও অন্যান্যদের ব্যর্থতা
মির হামজার ব্যাক অব লেংথের বলে উইকেটকিপার মুশফিকও ক্যাচ দেন। সাকিব আল হাসানও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হন; ১০ বলে ২ রান করে খুররামের বলে আউট হন। খুররাম ৪ উইকেট এবং মির হামজা ২ উইকেট নিয়েছেন।
২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর, লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজের পার্টনারশিপ বাংলাদেশের স্কোর ২৫০ পার করায়। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল। মিরাজের ৭৮ রান সেই মার্ক পেরিয়ে যায়।
ফলো-অন এড়াতে এবং বিশ্ব রেকর্ড
ফলো-অন এড়াতে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১২৫ রান। লিটনের ৭ম উইকেটে শতরানের পার্টনারশিপ বাংলাদেশের এই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করেছে। পরে, লিটন এবং মিরাজ দুজনই ফিফটি পূরণ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন।
মিরাজ ১২৪ বলে ৭৮ রান করে আউট হন, সপ্তম উইকেটে তাদের ১৬৫ রানের জুটি ভেঙে যায়। এই জুটি ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ৫০ রানের কম উইকেট পতনের পর সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটি।
লিটনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
মিরাজ আউট হওয়ার পর লিটন দাস ধীরগতিতে খেলেন। তিনি জানতেন যে, তিনিই শেষ স্বীকৃত ব্যাটার। তাসকিন আহমেদ এইদিন ভরসার পাত্র ছিলেন না। লিটন ধীরে ধীরে খেলেছেন এবং ক্র্যাম্পেও ভুগেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে ৯৯ রানের পর, তিনি ১০০ রান পূর্ণ করেন। এটি তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ১৭১ বল খেলে তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
বাংলাদেশের শেষ পর্যায়ের পারফরম্যান্স
২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর, লিটন দাসের অসাধারণ ব্যাটিং বাংলাদেশের স্কোর ২৬২ রানে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। লিটন আউট হওয়ার সময় তার নামের পাশে ছিল ১৩৮ রান। নাহিদ রানা পরবর্তীতে কিছু করতে পারেননি এবং বাংলাদেশ থেমেছে ২৬২ রানে।