দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান গত কিছু মাস ধরে সেভাবে প্রকাশ্যে আসেননি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে তিনি নিশ্চুপ ছিলেন, যা নিয়ে তাকে বেশ কিছু সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। শেখ হাসিনা যখন পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, তার পরে সাকিবের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সে সময় সাকিব পাকিস্তানে জাতীয় দলের জন্য খেলছিলেন। মামলার ব্যাপারে সাকিব কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ যখন ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পায়, সাকিব দুই ইনিংসে মোট ৪ উইকেট নেন। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিতে মিরাজের সঙ্গে সাকিব একটি ভয়ঙ্কর স্পিন আক্রমণ করেন। তবে ব্যাট হাতে তার পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাকিব মাত্র ২ রান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ২১ রান করেন। এই ইনিংস তার কাছে বিশেষ কারণ, দলের জয়ী রান তার ব্যাট থেকেই এসেছিল।
তবে, সাকিব পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার জন্য মাঠে ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন মুশফিকুর রহিম, যিনি ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। আগের সরকারের অংশ হওয়ায় সাকিব মুখ বন্ধ রেখেছিলেন। অবশেষে, সরকার পতনের প্রায় এক মাস পর সাকিব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন।
সাকিব তার ফেসবুক পোস্টে বাংলায় ও ইংরেজিতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে দেশের ক্রিকেট জয় উদযাপন করেছেন। পোস্ট দেয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই তার পোস্টে প্রায় সোয়া একলাখ রিয়েকশন এবং ১৬ হাজারের বেশি মন্তব্য এসেছে। ভক্তরা তার প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
সাকিব পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে দেশে ফিরবেন না। তিনি ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে যোগ দেবেন। ১৯ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে সিরিজে তাকে আবারও বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাবে।