আমরা জানি, বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুমে বন্যার সমস্যা সাধারণ। তবে বর্তমানে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানাচ্ছে যে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এ বিষয়ে পাউবো একটি সতর্কীকরণ বার্তা প্রকাশ করেছে।

আবহাওয়ার অবস্থা

আজ শুক্রবার, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদর রহমান বলেছেন, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, দুধকুমার নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং এটি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (৮৯ মি.মি.) সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তিস্তা, ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

কি ঘটতে পারে?

যদি ভারী বর্ষণ হয়, তাহলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল এবং কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। আমরা জানি, বন্যা হলে এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হয়। বিশেষ করে কৃষি, যোগাযোগ এবং ব্যবসার উপর এর প্রভাব পড়ে।

নদীর পানি অবস্থান

রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলোর মধ্যে আপার করতোয়া, আপার আত্রাই, টাঙ্গন, পুনর্ভবা, ইছামতী-যমুনা এবং যমুনেশ্বরী নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এসব নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে তা বিপৎসীমার নিচে থাকবে।

রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি সমতল কমছে, কিন্তু পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। এতে করে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি ধীরগতিতে হ্রাস পেতে পারে।

অন্যান্য জেলাগুলোর অবস্থা

এদিকে, সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বাড়ছে। তবে এটি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও গোমতী নদীর পানি সমতল কমছে।

বিপদ সংকেত

পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যে, নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস বা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিপদ সংকেত থাকতে পারে। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলগুলোতে বাস করা মানুষের জন্য এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয়।

করণীয়

আমরা সকলেই জানি, বন্যার সময় নিরাপদ স্থানে যাওয়াই শ্রেয়। তাই, যারা এসব অঞ্চলে বসবাস করেন, তাদের উচিত সতর্ক থাকা। যদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সতর্কতা আসে, তবে তা মেনে চলা প্রয়োজন।

উপসংহার

অতীতে দেখা গেছে, বন্যা এলাকা ভিত্তিক সমস্যা সৃষ্টি করে, যা অনেকের জীবনযাত্রাকে বিঘ্নিত করে। তাই, এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে এবং একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে।