বর্তমান প্রযুক্তির দুনিয়ায়, মার্ক জাকারবার্গ আবারও আলোচনায় আসছেন। তিনি এখন বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। তাঁর কোম্পানি মেটার শেয়ারের জন্য তিনি অ্যামাজনের সাবেক চেয়ারম্যান জেফ বেজোসকে পেছনে ফেলেছেন। চলুন জানি তাঁর এই সাফল্যের পেছনের কাহিনী।

জাকারবার্গের সম্পদের বৃদ্ধি

মার্ক জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ২০৫.৪ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে তিনি জেফ বেজোসের ২০৩.৯ বিলিয়ন ডলারকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। তবে তিনি এখনও ল্যারি এলিসনের (২০৮ বিলিয়ন) থেকে পিছনে রয়েছেন এবং ইলন মাস্কের (২৬৪ বিলিয়ন) থেকে অনেক দূরে।

এই বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ হলো মেটার শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে। গত কিছু দিনে মেটার শেয়ার ২% বেড়ে গেছে। জাকারবার্গের হাতে ১৩% শেয়ার রয়েছে, যা তাঁর সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।

বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস

মেটার শেয়ারের এই বৃদ্ধির কারণ হলো বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রে কোম্পানির নতুন মনোযোগ। বছরের শুরু থেকে মেটার শেয়ার প্রায় ৭০% বেড়ে গেছে। ২০২২ সালে কোম্পানিটি বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল, তখন জাকারবার্গ ২১,০০০ কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিনিয়োগকারীরা এখন এই সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করছেন, কারণ এর ফলে কোম্পানি এখন আবার উন্নতি করতে সক্ষম হচ্ছে।

প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ

জাকারবার্গের কোম্পানি ভার্চুয়াল এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে। এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। যদিও এই উদ্যোগগুলো ব্যয়বহুল, তবে বিনিয়োগকারীরা মেটার মূল বিজ্ঞাপন ব্যবসার সাফল্যের কারণে আস্থাশীল।

২০২৩ সালে জাকারবার্গের সম্পদ বৃদ্ধি

এখন পর্যন্ত, ২০২৩ সালে জাকারবার্গের সম্পদ ৭৮ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। এটি ব্লুমবার্গ সূচক দ্বারা ট্র্যাক করা বিশ্বের ৫০০ জন ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ, তাঁর সাফল্য সত্যিই চমৎকার।

মার্ক জাকারবার্গের এই সাফল্য প্রযুক্তি জগতের জন্য একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। তিনি দেখিয়েছেন যে, কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে কাজ করলে সাফল্য আসতে পারে। তাঁর কোম্পানির নতুন উদ্যোগগুলো আগামী দিনে প্রযুক্তির দুনিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।

এখন সকলের নজর থাকবে জাকারবার্গের পরবর্তী পদক্ষেপগুলোর দিকে। দেখার বিষয়, তিনি কি আরও নতুন চমক নিয়ে আসবেন।