সম্প্রতি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের চতুর্থ দফার সংলাপ শুরু হয়েছে। এই সংলাপের প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
গত শনিবার যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এর পর সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ আলম বলেন, “জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজমের নীরব সমর্থন করে আসছে। তারা অবৈধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সেগুলোর বৈধতা দিয়েছেন। এজন্য আমরা আপাতত জাতীয় পার্টিকে এই আলোচনায় রাখা হয়নি।”
তিনি আরও জানান, “সরকার জাতীয় পার্টির বিষয়ে অবস্থান পর্যালোচনা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকার একা এই সিদ্ধান্ত নেবে না। জাতীয় পার্টি যেভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছে এবং গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তা সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে স্পষ্ট করেছে।”
মাহফুজ আলমের বক্তব্যে স্পষ্ট হলো যে, জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের রাজনৈতিক আলোচনার পরিধির বাইরে রাখা হয়েছে। সরকার আশা করে যে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা আরও সুসংহত হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী হবে।
সাম্প্রতিক এই সংলাপগুলো দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসে, তাহলে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে এই আলোচনা থেকে দূরে থাকাটা রাজনৈতিক জটিলতাও তৈরি করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা ও সহযোগিতা বাড়াতে হলে, সকল পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এখন দেখার বিষয় হলো, এই আলোচনার ফলাফল কেমন হয় এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ কিভাবে পরিবর্তিত হয়। জনগণের প্রত্যাশা, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দায়িত্ব বুঝবে এবং দেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে।
বাংলা নিউজ বিডি হাব/ জাকির হাসান