কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রদের একটি বৃহৎ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সোমবার বিকেলে, আন্দোলনের সমর্থকেরা শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন। তারা ‘সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ এবং রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগের’ দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর তিনটার সময় প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। বক্তারা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করেন।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম সেখানে যোগ দেন। বক্তারা রাষ্ট্রপতি, আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দেন।
পদত্যাগের দাবিতে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা করেন। লেখক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আসিফ মাহমুদ লিখেছেন যে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু এই কথা সত্য নয়। সব সময় রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আমরা জানি, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেওয়া একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আপনাদের এখন নিজেদের ভুল স্বীকার করতে হবে।’
আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তারা জানান, যদি রাষ্ট্রপতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন, তবে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
বাহার উদ্দিন নামে একজন আন্দোলনকারী জানান, ‘রাষ্ট্রপতি চুপ্পু যতদিন পদে থাকবেন, আমরা রাজপথ ছাড়ব না। তিনি একজন মিথ্যাবাদী এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সহযোগী।’
একটি অন্য গ্রুপ, ইনকিলাবের মঞ্চ নামে পরিচিত, তারা জানান, ‘আমরা চাই রাষ্ট্রপতি দ্রুত পদত্যাগ করুন।’
বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, সেখানে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরাও কাজ করছেন।
গত ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তবে তার কাছে কোনো প্রমাণ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
আন্দোলনকারীরা এখন নতুন করে সরকার পতনের দাবি তুলেছেন এবং তাদের আন্দোলন আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছেন।
বাংলা নিউজ বিডি হাব/ জহিরুল ইসলাম