নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর রয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে ১লা নভেম্বর থেকে। এটি চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯৬ টাকা। গত বছর এই ফি ছিল ১৭১ টাকা, যা এবার বেড়ে ১২৫ টাকা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে এবং সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে।
এবারের রেজিস্ট্রেশনে অতিরিক্ত কিছু ফি যোগ করা হয়েছে। বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের জন্য ১০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। স্কাউটস ফি ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া গার্লস গাইড ফি হিসেবে ১৫ টাকা যোগ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ফি হচ্ছে ৮০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি, ৫০ টাকা ক্রীড়া ফি, ৫ টাকা বিজ্ঞান প্রযুক্তি ফি, ১৬ টাকা রেডক্রিসেন্ট ফি, এবং ৫ টাকা বিএনসিসি ফি।
রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও অতিরিক্ত ১৪০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে, তবে এবার বিলম্ব ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগের বিষয়ে কোন তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবেন। তবে যারা ১২ বছর পূর্ণ করেনি বা ১৮ বছরের বেশি, তারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের গ্রুপ বিভাজন করা হবে। শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করে নিজেদের বিভাগ নির্বাচন করবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগে রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে।
শিক্ষকদের জন্য একটি তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে, যারা রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোডের দায়িত্ব পালন করবে। রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন হলে, কমিটির সদস্যরা ফাইনাল সাবমিটের আগে ভর্তি ফরম ও সনদের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে নিশ্চিত করবেন।
রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ১ নভেম্বর থেকে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত হবে। ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইএসআইএফ পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে এর দায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে বহন করতে হবে।
এছাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি বা স্বীকৃতি নবায়ন হালনাগাদ থাকতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে স্বীকৃতি নবায়ন করেনি, তাদের প্রতি তিন বছরে একটি মেয়াদ ধরে স্বীকৃতি নবায়নের আবেদন করতে হবে।
এবারের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করে। তাই, সকল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। আশা করি, সবাই সময়মতো রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবে।
বাংলা নিউজ বিডি হাব/ জহিরুল ইসলাম