গত জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে চলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যেখানে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আজকে আমরা এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানাবো।

ঘটনা ও সরকারের প্রতিক্রিয়া

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর থেকে বলা হয়েছে যে, কিছু সংবাদমাধ্যম ও ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের নিহতের সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। এই কারণে নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, তারা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আহত বা নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকা রক্ষা করে। যদি কেউ দাবি করেন যে তাদের তালিকার বাইরেও পুলিশ নিহত হয়েছে, তবে তাদের প্রমাণ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকা

নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ৩ জন পুলিশ পরিদর্শক, ১১ জন উপপরিদর্শক (এসআই), ৭ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), ১ জন এটিএসআই, ১ জন নায়েক এবং ২১ জন কনস্টেবল রয়েছেন।

  • পুলিশ পরিদর্শক:
    • মো. আবদুর রাজ্জাক
    • রাশেদুল ইসলাম
    • মো. মাসুদ পারভেজ ভূইয়া
  • উপপরিদর্শক (এসআই):
    • সুজন চন্দ্র দে
    • খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার
    • রেজাউল করিম
    • মো. মামুনুর রশিদ সরকার
    • বাছির উদ্দিন
    • রইস উদ্দিন খান
    • তহছেনুজ্জামান
    • প্রণবেশ কুমার বিশ্বাস
    • মো. নাজমুল হোসাইন
    • আনিসুর রহমান মোল্লা
    • সন্তোষ চৌধুরী
  • সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই):
    • সঞ্জয় কুমার দাস
    • ফিরোজ হোসেন
    • সোহেল রানা
    • রাজু আহমেদ
    • ওবায়দুর রহমান
    • রফিকুল ইসলাম
    • মো. মোক্তাদির
  • টিএসআই: আলী হোসেন চৌধুরী
  • নায়েক: মো. গিয়াস উদ্দিন
  • কনস্টেবল:
    • মো. আবদুল মজিদ
    • রেজাউল করিম
    • মাহফুজুর রহমান
    • শাহিদুল আলম
    • মো. আবু হাসনাত রনি
    • মীর মোনতাজ আলী
    • সুমন কুমার ঘরামী
    • মোহাম্মদ আবদুল মালেক
    • মোহাম্মদ ইব্রাহিম
    • মো. আবদুস সালেক
    • মো. হাফিজুল ইসলাম
    • মো. রবিউল আলীম শাহ
    • মো. হুমায়ুন কবীর
    • মো. আরিফুল আযম
    • মো. রিয়াজুল ইসলাম
    • মো. শাহিন উদ্দিন
    • মো. এরশাদ আলী
    • মাইনুদ্দিন লিটন
    • মো. সুজন মিয়া
    • মো. খলিলুর রহমান
    • মো. হানিফ আলী

হতাহতদের স্থান ও তথ্য

নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন, যেমন:

  • সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৫ জন
  • নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, হবিগঞ্জ, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ ইত্যাদি স্থান থেকে আরো সদস্য নিহত হয়েছেন।

তথ্যের সত্যতা ও ভবিষ্যৎ

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ বিভাগের কাছে নিহত সদস্যদের তথ্য সঠিকভাবে রক্ষিত আছে। যদি কেউ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ধরনের সহিংসতা এবং প্রতিবাদ সম্পর্কে আমাদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

বাংলাদেশে পুলিশের মৃত্যু একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমাদের সকলকে এই সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং সঠিক তথ্য প্রচার করতে হবে। সরকার ও জনগণের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়ানো উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়।