বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। নেপালি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডেপুটি চিফ অব মিশন মিস ললিতা সিলওয়াল উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, “নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা রয়েছে।

“মানবাধিকার, সুশাসন, দ্বি-পাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্কের প্রতিফলন আগামী দিনে দেখতে চাই।” তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সার্ক নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল, সেটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। নেপালের রাষ্ট্রদূতও মনে করেন, সার্কের মাধ্যমে যে সম্ভাবনা ছিল, সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।

আমীর খসরু আরও বলেন, নেপালের জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “পাওয়ার প্লান্ট রয়েছে নেপালে। বিদ্যুৎ সেক্টরে বিগত ১৫ বছরে একটা কলঙ্কিত সময় গেছে, তবে এখন সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা নেপালের হাইড্রোলিক বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আনতে পারি। এই সম্ভাবনাটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।”

বৈঠকে, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের জন্য সার্ককে সঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই বৈঠক বাংলাদেশের আঞ্চলিক সহযোগিতাকে নতুন দিগন্তে পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

সার্ককে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সকল পক্ষের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। আমীর খসরু উল্লেখ করেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং সকল সদস্য দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে।

এভাবে, নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই আলোচনা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।