মুন্সীগঞ্জে শিশু তকির হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে মুন্সীগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আলমগীর এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত দোষীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দিয়েছেন, এবং অর্থদণ্ড না দিলে এক বছর করে অতিরিক্ত কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মুন্সীগঞ্জ সদরের রবিউল্লাহ, হান্নান মিয়া, আবুল হোসেন, ময়না মিয়া ও আনোয়ার হোসেন। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩১ অগাস্ট সকালে শিশু তকিরকে বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা মুন্সীগঞ্জ শহরে যান। বিকালে ফিরে এসে তারা তকিরকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। কোথাও তাকে না পেয়ে পরের দিন তকিরের মা ঝর্ণা বেগম মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন।
ঘটনার তিন দিন পর, বাড়ির পাশে একটি ডোবায় তকিরের মরদেহ পাওয়া যায়। হত্যার সন্দেহে পুলিশ রবিউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে, এবং তার দেওয়া তথ্যে আরও চার আসামিকে আটক করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল্লাহ এবং অন্য আসামিরা তকিরকে গলায় থাকা সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য অপহরণ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।
আসামিদের জবানবন্দি এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় দেয়, তবে জামিন পেয়ে পলাতক রয়েছেন রবিউল্লাহ এবং হান্নান মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানিয়েছেন, এ রায়ে তকিরের পরিবার সন্তুষ্ট হয়েছে।
এটি একটি মারাত্মক এবং দুঃখজনক ঘটনা, যা শিশু হত্যার বিরুদ্ধে সমাজে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হবে। আদালতের এ রায় নিশ্চিত করবে যে, অপরাধীরা কোনোভাবেই শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাবে না।
বাংলা নিউজ বিডি হাব/ জহিরুল ইসলাম