কুমিল্লা, বাংলাদেশ – কুমিল্লা-১০ আসনের পাঁচবারের এমপি আবু হেনা মোহাম্মদ (আ হ ম) মুস্তফা কামাল, যিনি লোটাস কামাল নামে পরিচিত, অর্থমন্ত্রীর পদে থাকাকালীন দেশের অর্থনীতিকে ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন।

বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত এই নেতা দুর্নীতি, শেয়ারবাজার কারসাজি, মানবপাচার, টেন্ডারবাজি এবং নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, তিনি চিকিৎসার অজুহাতে পরিবার নিয়ে বিদেশ পালিয়েছেন এবং অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।

মুস্তফা কামালের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। কুমিল্লা-৯ আসনের এমপি আবুল কালাম মজুমদার মারা যাওয়ার পর নৌকার টিকিট পান। ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আর পেছনে ফিরে তাকাননি। ২০১৪ সালে পরিকল্পনা এবং ২০১৯ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় তিনি অভিযোগ করেছেন যে, তিনি অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করে স্বজনদের নামে বিপুল সম্পদ গড়েছেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে কুমিল্লায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন করেন, কিন্তু প্রকল্পটি সাধারণ মানুষের কাজে আসেনি।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, নাঙ্গলকোট ও আদর্শ সদর উপজেলায় ৪২টি খাল খনন প্রকল্পের সাড়ে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও তা তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর তদন্তে তার কোম্পানির বিরুদ্ধে তথ্য উঠে আসে।

আর্থিক দুর্নীতির এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানাচ্ছে, জনগণের দাবি হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার।