ড্রাগন ফল, যা আমাদের দেশে নতুন হলেও, এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এই ফলটি শুধু সুস্বাদু নয়, বরং এর খোসারও অনেক উপকারিতা আছে। আজকের এই লেখায় আমরা জানব ড্রাগন ফলের খোসার বিভিন্ন উপকারিতা এবং কিভাবে আমরা এই খোসা ব্যবহার করতে পারি।

ড্রাগন ফলের ইতিহাস

ড্রাগন ফল (Hylocereus undatus) একটি বিদেশি ফল, যা মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াতে চাষ হয়। ভিয়েতনামে এটিকে মিষ্টি ড্রাগন বলা হয়, আর থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও, এই ফলটির পুষ্টিগুণ অত্যন্ত সমৃদ্ধ।

ড্রাগন ফলের উপকারিতা

ড্রাগন ফল খেতে খুব সুস্বাদু। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এর ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন কমানোসহ অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

ড্রাগন ফলের কিছু অপকারিতা আছে। যেমন, যারা ড্রাগন ফল খেলে এলার্জিতে আক্রান্ত হন, তাদের জন্য এটি নিরাপদ নয়। এছাড়া, এতে উচ্চ পরিমাণে চিনির উপস্থিতি থাকায়, ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

 

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

ড্রাগন ফলের খোসা সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়, কিন্তু এর কিছু উপকারিতা আছে। যেমন:

  • ওজন কমাতে: ড্রাগন ফলের খোসার জুস পানে অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: এটি সুগার ফ্রি হওয়ায়, ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন।
  • হার্টের স্বাস্থ্য: এটি রক্ত চলাচল বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা

ড্রাগন ফলের খোসা ত্বকের যত্নেও ব্যবহৃত হয়। এর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে আর্দ্রতা দেয় এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।

ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক

ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহার করে সহজেই একটি ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। খোসাকে মিশিয়ে বেসন, গোলাপ জল এবং দুধের সাথে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

খালি পেটে ড্রাগন ফল

খালি পেটে ড্রাগন ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এটি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

 

লেখকের মন্তব্য

ড্রাগন ফল এবং এর খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানলাম। এটি শুধু স্বাস্থ্যকর নয়, বরং রূপচর্চার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়। আপনারা যদি এই ফলটি খেতে চান, তবে এর খোসা ফেলে না দিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।