আজ (৫ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন, এবং এই নির্বাচন বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের ফলাফল শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত নয়, বরং সারা বিশ্বের ভূরাজনীতি এবং অর্থনীতির গতিপথকেও প্রভাবিত করবে।

নির্বাচনের দিন

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ, যা চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী উত্তেজনা চলছে, এবং বিশেষ করে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটগ্রহণ শেষে দ্রুত বিজয়ী ঘোষণা করতে চান। তাঁর দাবি, ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই বিজয়ী প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করা উচিত।

২০১৬ এবং ২০২০ সালের নির্বাচন

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি জো বাইডেনের কাছে হেরে যান। এখন ২০২৪ সালে তিনি আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরতে চান, কিন্তু এর জন্য তাকে কমলা হ্যারিস-এর বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে।

এবারের নির্বাচন: বিশ্বে প্রভাব

এবারের নির্বাচনে সারা বিশ্বের চোখ আড়াল হবে হোয়াইট হাউসের পরবর্তী বাসিন্দার দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং পররাষ্ট্রনীতির ওপর পুরো পৃথিবী অনেকটা নির্ভরশীল। তাই মার্কিন নির্বাচন কেবল আমেরিকার জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

এছাড়া, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লেবাননে প্রবাসী ভোটারদের জন্যও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দূতাবাস জানিয়েছে, যারা নিবন্ধন করতে পারেননি, তাদের দায় নিতে হবে।

ভোটগ্রহণ এবং ভবিষ্যত

বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্র হিসেবে, এই নির্বাচনের ফলাফল শুধু আমেরিকার নয়, বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে পারে। এখন সবার নজর কমলা হ্যারিস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কঠিন লড়াইয়ের দিকে।

এবারের নির্বাচন প্রক্রিয়ার পর, বিশ্ববাসী জানতে পারবে—কোন প্রার্থী হোয়াইট হাউসে যাবেন, এবং বিশ্বরাজনীতিতে কী ধরনের নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।