[]
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানকে আরও সংক্ষিপ্ত ও বোধগম্য করতে কমিশন কাজ করছে। তাই কিছু অনুচ্ছেদ মুছে ফেলা বা প্রতিস্থাপন করতে হতে পারে। ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে আলী রিয়াজ বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে। তবে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। বাংলার মানুষ ব্রিটিশসহ সব ধরনের হানাদারদের বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছে। তাহলে কেন চেতনার কথা উল্লেখ করবেন না?
বাংলাদেশ রাষ্ট্রধর্ম সহ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হবে কি না, এ প্রসঙ্গে সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, বিশ্বের ২৫ শতাংশ দেশে রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে। এটি তাদের ধর্মনিরপেক্ষ হতে বাধা দেয় না। ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে, আমি মনে করি সংবিধানের বাংলা সংস্করণ শব্দটির ভুল ব্যাখ্যা করেছে। ধর্মনিরপেক্ষতা একটি দর্শন। তাই কথায় বিভ্রান্ত না হওয়াই ভালো।
তিনি বলেন, এবং অবশ্যই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করে তাকে সম্মান করতে হবে। সে যাই হোক, এই অভ্যুত্থান একটি উন্নত ও নতুন বাংলাদেশের জন্য সাংবিধানিক সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমাদের সুপারিশও সেদিকেই থাকবে।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই অনুচ্ছেদ সংসদে ফ্লোর ক্রসিংয়ের মাধ্যমে অবাধ ভোটদানে বাধা দেয়। কোনো সদস্য দলের বিপক্ষে ভোট দিলে তিনি তার আসন হারান। এতে ক্ষমতাসীন দল অনুচ্ছেদটিকে রাবার স্ট্যাম্পের মতো ব্যবহার করে। ফলে সংসদ কখনোই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট পাস করতে পারে না। সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে, যাতে শাসকরা সংসদের কাছে জবাবদিহি করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের বহুত্ববাদী চরিত্রকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির সাথে আপস করা যাবে না। এটাই আমাদের ভিত্তি। সংবিধানের মূল নীতিগুলি হওয়া উচিত ‘সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদা।
[]
< href="https://BnglNewsBDHub.com/04//3/constitution-/"> >